যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও ১০টি লোকোমোটিভ (রেল ইঞ্জিন) কিনতে চায় বাংলাদেশ। বুধবার (১০ মার্চ) বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার রেলভবনে সাক্ষাৎ করতে এলে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এ আগ্রহের কথা জানান। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আলোচনাকালে রেলপথমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভের উল্লেখ করেন। তিনি জানান, পাঁচটি লটে ৪০টি লোকোমোটিভ আসবে। ইতোমধ্যে প্রথম লটের আটটি বাংলাদেশে চলে এসেছে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম যে ১০০টি লোকোমোটিভ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে সেগুলোও আমেরিকার একই কোম্পানি প্রগ্রেস রেল সরবরাহ করবে।
আরও দশটি লোকোমোটিভ একই দামে প্রগ্রেস রেল থেকে কেনার বিষয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেন বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসব লোকোমোটিভ চালানোর জন্য দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়াসহ যন্ত্রাংশ যাতে সহজেই পাওয়া যায় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান রেলমন্ত্রী। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত প্রযুক্তি এ দেশের রেলওয়েতে কিভাবে যুক্ত করা যায় মন্ত্রী তা বিবেচনারও আহ্বান জানান।
রেলমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশের রেলওয়ের অবকাঠামো সমস্যা তুলে ধরে বলেন, ডাবল লাইন নির্মাণ করা খুবই জরুরি। আমেরিকার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে রেলওয়েতে বিনিয়োগের বিভিন্ন ক্ষেত্র খতিয়ে দেখতে পারে।
নুরুল ইসলাম সুজন রেলওয়ের ডাবল লাইন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশে যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ কারখানা নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচলক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, মার্কিন দূতাবাসে ইকোনোমিক অফিসার জেফরি ডির্কস উপস্থিত ছিলেন।
নদী বন্দর / এমকে