তাইওয়ান দখল করতে চায় চীন। দাবি করলেন শীর্ষ মার্কিন সেনা কর্মকর্তা। রয়টার্স সূত্রে খবর, মার্কিন রক্ষাকবচের কারনেই বর্তমানে এই সাহস দেখাতে পারছে না চীন। তবে যেকোনো প্রকারে তাইওয়ানকে তারা দখল করবেই বলে সূত্রের খবর। এ বিষয়ে সামরিক প্রস্তুতি নিয়েই আসরে নামবে চীন। শি জিংপিং তার ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন তারা তাদের টার্গেট পূরণ করবেই। তাইওয়ানকে তারা দখল করবে বলে জোর দিয়ে জানিয়েছে জিংপিং। এই খবর প্রকাশিত হওয়ামাত্র বেশিমাত্রায় সতর্ক হয়ে গেছে তাইওয়ান।
লালফৌজের হামলা রুখতে তারা আগে থেকেই নিজেদেরকে সামরিক সরঞ্জামে সাজিয়ে তুলছে। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার কারনে আধুনিক মানের সাবমেরিন তৈরিতে জোর দিয়েছে তাইওয়ান। বর্তমানে তাদের কাছে যে সাবমেরিনগুলি রয়েছে সেগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের।
মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ফিলিপ ডেভিডসনের দাবি, আমেরিকাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় চীন। তারা আন্তর্জাতিক আইন মানে না। তাই তারা তাইওয়ানকে তাদের দখলে নিয়ে আসবে। প্রসঙ্গত, চীনের ওপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে মিসাইল দেয়ার কথা ঘোষনা করে আমেরিকা।
তাই ১০০ টি ক্ষেপনাস্ত্র তাইওয়ানকে দেয়ার বিষয়ে সিলমোহর দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। এই চুক্তিতেই বাড়তি চাপ অনুভব করে চীন। এ বিষয়ে নিজেদের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছিল চীন। এরপর থেকেই তারা তাইওয়ানকে টার্গেট করে। নিজেদের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা কোনো চেষ্টা বাদ রাখেনি।
মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাম্প্রতিক তাইওয়ান সফরকে ঘিরেও তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক অস্থিরতা। তবে তাইওয়ানের ওপর চীন আক্রমণ করলে আমেরিকা তাতে হস্তক্ষেপ করবে বলেই মনে করছে সকলে। চীন এই চাপ কিভাবে নেবে সেটাই দেখার।
নদী বন্দর / জিকে