1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে জাগছে চর - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সবকিছু এখন পর্যন্ত ইতিবাচক : সাদিক কায়েম হঠাৎ অসুস্থ অমর একুশে হলের এজিএস প্রার্থী, নেওয়া হলো হাসপাতালে কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানার জামিন টায়ার জ্বালিয়ে-গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ, ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন ২১ জেলা নিবন্ধন প্রত্যাশী ২২ দলের তদন্ত প্রতিবেদন ইসির হাতে, চলছে যাচাই-বাছাই বড় পরিবর্তন আসছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ায় মানবতাবিরোধী মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে ১৪তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ ডাকসু নির্বাচন: ভোট দিতে সব কেন্দ্রেই লম্বা লাইন সমাজমাধ্যমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: অবশেষে ‘জেন জি’-র কাছে নেপাল সরকারের নতিস্বীকার! ডাকসু নির্বাচন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা, কার্ড ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধ
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৯৩ বার পঠিত

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বালুচর জাগতে দেখা গেছে। ব্রিজের মোট ১৬টি গার্ডারের মধ্যে ১০টি আছে পানির মধ্যে। বাকি ছয়টি গার্ডারের গোড়ায় বালুচর জমেছে। পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এর ফলে প্রধান শাখা নদী গড়াই শুকিয়ে গেছে। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এখন সবচেয়ে কম পানি বইছে পদ্মা নদীতে।

যৌথ নদী কমিশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মার্চের শেষের দিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে মাত্র ২৩ হাজার কিউসেকের মতো পানি প্রবাহ রয়েছে। যৌথ নদী কমিশনের হিসাবে, এর আগে ২০১৬ সালে মার্চের শেষে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ছিল ২১ হাজার ৭১০ কিউসেক। এরপরে এখানে পানির প্রবাহ কখনো ৩০ হাজার কিউসেকের নিচে নামেনি।

গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম যৌথ নদী কমিশনের সূত্র উল্লেখ করে জানান, মার্চের শেষে এসে পদ্মায় পানি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২৩ হাজার কিউসেকের মতো। যে কারণে পানি ৪.১ মিটার রিডিউসড লেভেলে (আরএল) নেমে আসায় গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে প্রকল্পের পাম্প বন্ধ রাখা হয়। পদ্মার পানি বৃদ্ধি হওয়ায় চার দিন ধরে আবার পাম্প চালু হয়েছে।

ফারাক্কা পয়েন্টের আগে নানা প্রকল্পের মাধ্যমে ভারত গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, ভারত উত্তরখাণ্ড থেকে শুরু করে ফারাক্কা পর্যন্ত অন্তত ১ হাজারটি সেচ প্রকল্প এবং ব্যারেজ নির্মাণ করেছে। সমালোচিত ইন্টার রিভার লিংকিং প্রকল্পের মাধ্যমে এসব প্রকল্প ও ব্যারেজের জন্য আগেই গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তাই ফারাক্কা পয়েন্টে কত পানি পাচ্ছি তা নিয়ে আমাদের হইচই না করে পুরো গঙ্গা বেসিন ধরে হিসাব নিতে হবে।’

পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম বলেন, ভেড়ামারায় পদ্মার পানি ধরে রাখতে গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণের যে পরিকল্পনা ছিল সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্ষা মৌসুমে ব্যারেজে পানি ধরে রেখে শুষ্ক মৌসুমে সহজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, বোরো চাষে এই সময়ে সেচ দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেচ না দিলে ফলনে প্রভাব পড়বে। জিকে প্রকল্পের আওতায় বোরো মৌসুমে এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচসুবিধা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com