ভারতের গুণী অভিনেতা অনুপম খের। ছোট পর্দা থেকে বলিউড, হলিউড সব জায়গাতেই পদচারণা রয়েছে তার। অভিনয় করেছেন পাঁচ শতাধিক সিনেমায়। ক্যারিয়ারে দুবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আটবার ফিল্মফেয়ার।
তিনি ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের ও ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা পদে চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৪ সালে ভারত সরকার সিনেমায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য তাকে পদ্মশ্রী উপাধিতে সম্মানিত করে। ২০১৬ সালে পেয়েছেন পদ্মভূষণ।
তার স্ত্রী অভিনেত্রী কিরণ খের বিজেপির হয়ে চন্ডীগড়ের সাংসদ।
অর্থবিত্ত, ক্ষমতা, নাম- কোনো কিছুরই অভাব নেই কমেডিতে ওস্তাদ অনুপম খেরের। তবে জীবনের শুরুটা তার এখনকার মতো এত মসৃণ, চাকচিক্যের ছিল না।
একটা সময় মুম্বাইয়ের রেলস্টেশনেও ঘুমাতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি আইএএনএসের সঙ্গে আলাপকালে জীবনের অতীত-বর্তমান নানা দিক নিয়ে আলাপ করেছেন অনুপম।
জীবনের এই স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় নিজেকে নতুন মানুষের মাঝে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি। তাই হয়তোবা এই শহরের মানুষের প্রতি আমার বাড়তি অনুভূতি কাজ করে। আজ থেকে ৪০ বছর আগে ১৯৮১ সালের ৩ জুন মুম্বাই শহরে আসি আমি।
অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এই শহরে আসা। আমার তখন মাথায় অর্ধেক চুল ছিল। মুম্বাইয়ে সেই সব দিনে আমার জীবনযুদ্ধ খুব কঠিন ছিল। আমি চাই না অন্য কেউ আমার মতো এতটা কষ্ট করুক। বাসা তো দূরের কথা খাবারও জুটতো না আমার। আমি ঘুমাতাম মুম্বাইয়ের রেলস্টেশনে।
অভিনয় জীবনের শুরুতেও অনেকেই আমাকে ভালো কোনো চরিত্র দিতে চায়নি। মাথায় চুল কম ছিল বলে অভিনয় থেকে দূরে সরে সহকারী পরিচালক হওয়ার বুদ্ধি দিতো অনেকে। তবে ড্রামা স্কুল এবং নিজের জীবনের তাগাদাই আমার স্বপ্নপূরণ করেছে।’
প্রসঙ্গত, অনুপম খের ‘আগমন’ সিনেমা দিয়ে ১৯৮২ সালে চলচ্চিত্রে পথচলা শুরু করেন। তিনি ২০০২ সালে ‘বেন্ড ইট লাইক বেকহাম’, ২০০৪ সালে ‘ব্রাইড অ্যান্ড প্রিজুডিস’, ২০১১ সালে ‘স্পিডি সিংগস’ এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে কাজ করে হলিউডে পরিচিতি লাভ করেন।
এছাড়া তিনি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের সঙ্গে অনেকগুলো সিনেমায় অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।
নদী বন্দর / এমকে