ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রথম বারের মতো সৌদি আরবের মরু অঞ্চলের সাম্মাম ফল চাষ হয়েছে। একই সঙ্গে করা হয়েছে বাংলালিংক জাতের তরমুজ চাষ। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন এই সাম্মাম ফল দেখতে জমিতে ভিড় করছেন লোকজন। নতুন এই ফল দেখতে এসে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেকেই।
সাম্মাম সৌদি আরবের একটি পুষ্টিকর ও মিষ্টি জাতের ফল। এ ফলের বাইরের অংশ হলুদ আর ভেতরের অংশ লাল। বীজ বপনের দুই-আড়াই মাসের মধ্যে সাম্মাম গাছে ফল আসে। তিন মাসের মধ্যে ফল পরিপক্ব হয়।
উপজেলার আদমপুর গ্রামের মো. মোস্তাকিম ও মো. আমজাদ হোসেন ২৬ বিঘা জমি ইজারা নেন। সেখানে মায়ের দোয়া বহুমুখী কৃষি প্রকল্প নামের খামার গড়ে তোলেন। ঐ কৃষি প্রকল্পে ১৫ বিঘা জমিতে দেশীয় পদ্ধতিতে সাম্মাম ফল ও তরমুজ আবাদ করেন। বাকি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়। ইতিমধ্যে তরমুজ ও সাম্মাম ফল কাটা শুরু হয়েছে। আর বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে এগুলো কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন।
কৃষক মো. আমজাদ হোসেন জানান, সাম্মাম ফলটি মূলত সৌদি আরবের হলেও তারা ঢাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশীয় পদ্ধতিতে চারা করে আবাদ করেন। প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে সাম্মাম ও তরমুজ চাষ করতে সেচ, বীজ, চারা রোপণ, জমি ইজারা, পরিচর্যা, সারসহ অন্যান্য মিলে তাদের খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা। এরই মধ্যে দেড় লাখ টাকার সাম্মাম ফল বিক্রি করা হয়েছে। আর ৫০ হাজার টাকার ওপর বিক্রি হয়েছে তরমুজ।
তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমির বেশির ভাগ সাম্মাম ফল ও তরমুজ বিক্রি হবে। সব মিলিয়ে সাম্মাম ফল বিক্রি হবে ৪ লাখ টাকার ওপর আর তরমুজ বিক্রি হবে ৭ লাখ টাকারও বেশি। খরচ বাদে এই দুই ফল থেকে ৪ লাখ টাকার ওপর লাভ হবে বলে তারা আশা করছেন।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বলেন, মূলত সাম্মাম ফলটি সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়। কৃষক মোস্তাকিম ও আমজাদ হোসেন দেশীয় পদ্ধতিতে সাম্মাম চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
নদী বন্দর / জিকে