1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৫ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ মে, ২০২১
  • ১৬০ বার পঠিত

রসালো ফল লিচু। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। ২০২০ সালে জেলায় ৪৫৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়। গত বছর উৎপাদন ও বাজার দর ভালো পাওয়ায় এ বছর ৫১০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লিচুর ফলনও ভালো হয়েছে।

জানা যায়, জেলার সীমান্তবর্তী তিনটি উপজেলায় বেশিরভাগ লিচুর চাষাবাদ হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লিচুর বাজারদরও ভালো। জেলার তিনটি উপজেলায় ৪৯৫ হেক্টর ও জেলার অন্যান্য উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে এ বছর লিচু আবাদ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকার লিচু বিক্রি হবে।

jagonews24

এরমধ্যে জেলার বিজয়নগর উপজেলায় ৩৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় উৎপাদিত লিচু সুস্বাদু হওয়ায় দেশ-বিদেশে খ্যাতি রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে লিচু কিনে নিয়ে যায়। এখানে উৎপাদিত লিচুর মধ্যে পাটনাই, বোম্বাই, চায়না-২ ও চায়না-৩ উল্লেখযোগ্য।

এছাড়াও জেলার সবচেয়ে বড় লিচুর হাট বসে বিজয়নগরের আওলিয়াবাজারে। প্রতিদিন ভোররাত ৩টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত জমে লিচুর হাট। পাইকাররা ভিড় করেন হাটে। প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ টাকার লিচু বিক্রি হয়। গত বছর লিচু বিক্রি থেকে রাজস্ব পাওয়া গেছে ১৩ কোটি টাকা।

jagonews24

উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের সেজামোড়া গ্রামের লিচু চাষি নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমার লিচু বাগানটি সাড়ে ৩ বিঘা জমির ওপর। গত ৫-৭ বছর যাবত বাগানটি চাষাবাদ করে আসছি। কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিদিন বিকেলে লিচু গাছ থেকে পেড়ে পরদিন ভোরে স্থানীয় আওলিয়াবাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়াও বাগানে ক্রেতারা আসছেন লিচু কিনতে।’

সিলেট থেকে আসা পাইকার আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘এ অঞ্চলের লিচু অত্যন্ত সুস্বাদু। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে যে লিচু আনা হয়, তা সিলেট যেতে যেতে অনেকটা মান নষ্ট হয়ে যায়। দামে ও মানে আমাদের চাহিদার মধ্যে হওয়ায় বিজয়নগর থেকেই প্রতিবছর লিচু কিনে সিলেটের বাজারে নিয়ে যাই।’

jagonews24

বিজয়নগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জুনায়েদ আল সাদী বলেন, ‘এ বছর বিজয়নগরে ৩৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে লিচু চাষ করা হয়েছে। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। আমরা কৃষকদের সব ধরনের সহায়তা দিয়েছি। বৃষ্টিপাত কম এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় বাগানগুলোয় সেচ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ সময় পানির অভাব বা বৃষ্টি বেশি হলে লিচু ফেটে যায়। আমরা আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় লিচু বাম্পার ফলন হয়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রবিউল আলম বলেন, ‘কৃষি বিভাগ মৌসুমের প্রথম দিক থেকেই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলার ৪২০টি বাগানে ১,৫৩০ মেট্রিক টন লিচুর ফলন হবে বলে প্রত্যাশা করছি। যার বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।’

নদী বন্দর / এমকে

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com