সমুদ্রসীমায় সামুদ্রিক মাছ আহরণ বন্ধে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনে ৩ হাজার ৪৩টি অভিযান পরিচালনা করেছে নৌ-পুলিশ।
অভিযানে ১৪০ জনকে ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা, ৮টি ট্রলার মালিককে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা, ১৫টি নৌকার মালিককে দেড় লাখ টাকা এবং ৮টি বরফকল মালিককে ৪২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এই সময়ে অভিযান চালিয়ে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৪১ হাজার ১৮০ মিটার অবৈধ জাল উদ্ধার করা হয়।
নৌ পুলিশ বলছে, মামলা ও জরিমানার চেয়ে জনসচেতনতাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। জনগণের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণকে কাজে লাগিয়ে সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে নৌ পুলিশ। অভিযানের অংশ হিসেবে বরফকল, আড়ৎ, বাজার, ফিসিংবোট ঘাট, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও মাছ ঘাট নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়।
বরফকল মালিক সমিতি, ফিসিংবোট মালিক সমিতি ও জেলেদের সঙ্গে সচেতনতামূলক সভার আয়োজনের মাধ্যমে তাদের নিষিদ্ধ সময়ে সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণ না করার জন্য সচেতন করা হয়।
সমুদ্রসীমায় ৬৫ দিনের অভিযান প্রসঙ্গে নৌ-পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার বন্ধে নৌ-পুলিশ গতানুগতিক পুলিশিংয়ের বাইরে এবার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত সকল বরফকল বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যাতে কেউ বরফ নিয়ে সমুদ্রে যেতে না পারে। এছাড়া ইন্টিলিজেন্স বেইসড পুলিশিং তথা জেলেপল্লী হতে যাতে কেউ গোপনে সমুদ্রে যেতে না পারে এবং কোনো ট্রলার ঘাট ছেড়ে যেতে না পারে কিংবা কোনো সংঘবদ্ধ দল সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
নৌ-পুলিশ জানায়, বিগত বছরগুলোর তুলনায় সমুদ্রে ইলিশ, চিংড়ি ও চিংড়ি জাতীয় মাছসহ সামুদ্রিক মাছের পরিমান ব্যপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে