সালমান খান। বলিউড সুপারস্টার। বলিউডে তিনি সবার ভাইজান। বলিউড কাঁপে তার প্রভাবে। বলিউড সুন্দর সুনামে। বলিউড আলোকিত তার মেধায়। বলিউড মানবিক তার চমৎকার মানবিকতায়। এমন আবেগ জড়ানো অনেক কথাই তাকে নিয়ে লেখা যায়। কিছুই হয়তো অত্যুক্তি হবে না।
দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারে পেয়েছেন আকাশ ছোঁয়া সফলতা। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ডও আছে তার দখলে। হাজার হাজার কোটি টাকা মুনাফা তিনি উপহার দিয়েছেন প্রযোজকদের। তার উপর চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখে তাই বলিউডের নামী প্রযোজনা সংস্থাগুলো।
শুধু সিনেমা নয়, টিভিতেও তিনি অনুষ্ঠান কিংবা বিজ্ঞাপনে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকা। যেখানেই হাত দিয়েছেন, সোনা ফলিয়েছেন।
যেমন কামিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা তেমনি মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি আর্ত মানবতার সেবায় দুই হাতে টাকা খরচ করে। সমাজ ও মানবসেবায় অনেক দৃষ্টান্ত তিনি তৈরি করে রেখেছেন। করোনার এই অসময়েও তিনি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
সেই সালমান খানের যাত্রাটা কেমন ছিলো? ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলছে, মাত্র ৭৫ টাকা পারিশ্রমিকে একটি অনুষ্ঠানে ড্যান্সার হিসেবে শোবিজে প্রথম কোনো কাজের মূল্য পেয়েছিলেন তিনি। ২৭ ডিসেম্বর ৫৫ বছরে পা রাখলেন সালমান খান। এদিন উপলক্ষে একটি বিশেষ প্রতিবেদনে এই কথা জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন সালমান। ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমা থেকেই জনপ্রিয়তার শুরু তার। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। কখনও প্রেম হয়ে হাসিয়েছেন তো কখনও চুলবুল পাণ্ডে হয়ে দাবাং গিরি করেছেন। তার সব চরিত্রই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।
কিন্তু প্রথমবার কত টাকা আয় করেছিলেন সালমান? এখন শুনলে বেশ অবাকই হতে হবে। কারণ তার প্রথম বেতন ছিল ৭৫ টাকা। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। তাও আবার নায়ক হিসেবে না।
১৯৮৯ সালে মুম্বাইয়ের তাজমহল হোটেলে একটি ইভেন্টে ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সার হিসেবে নাচ করে ৭৫ টাকা উপার্জন করেছেন সালমান খান। এরপর ৭৫০ টাকার বিনিময়ে একটি ঠান্ডা পানীয়র বিজ্ঞাপন করেছেন তিনি। আর ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমার জন্য তাকে অফার করা হয়েছিল ৩১ হাজার টাকা।
তবে অবশ্য তা বেড়ে শেষ পর্যন্ত ৭৫ হাজারে পৌঁছেছিলো। সেই তারকার অর্থের হিসেব এখন করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। অনুরাগীদের ভালবাসাই তাকে পৌঁছে দিয়েছে সেই উচ্চতায়।
নদী বন্দর / পিকে