বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার। দুর্দান্ত অভিনয় এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্ব দিয়ে আকাশচুম্বী অর্জন করেছেন তিনি। জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেতা হিসেবে।
বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন, গণমাধ্যমের জরিপেও ভারতীয় প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে শীর্ষে আছে তার নামটি।
নতুন খবর হলো, গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে নিজের পারিশ্রমিক আরো বাড়াতে চলেছেন অক্ষয়। ১১৭ কোটি রুপি থেকে ১৩৫ কোটি রুপিতে যেতে চলেছে তার প্রতি সিনেমার পারিশ্রমিক।
বলিউড হাঙ্গামা তাদের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, চলমান করোনার এই সময়ে ৯৯ কোটি রুপি থেকে ১১৭ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নির্ধারণ করেন অক্ষয়। পরিচালকদের ব্যাপক চাহিদা ও অন্যান্য সবদিক মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ‘আক্কি’।
বর্তমানে বেশ কয়েকটি সিনেমা একসঙ্গে শুরু করায় নিজের পারিশ্রমিক কাঠামো আবারও বদলে দিয়েছেন অক্ষয়। আগামী ২০২২ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমাগুলোর জন্য অক্ষয় নিচ্ছেন ১৩৫ কোটি রুপি।
এক হিসেবে দেখা গেছে অক্ষয়ের প্রতিটি সিনেমার নির্মাণ ব্যায় গড়ে ৩৫-৪০ কোটি রুপি। প্রিন্ট এবং পাবলিসিটির জন্য খরচ করা হয় ১৫ কোটি। অক্ষয়ের পারিশ্রমিক এবং অন্যান্য ব্যায় মিলিয়ে প্রতিটি সিনেমার বাজেট দাঁড়ায় ১৮৫-১৯৫ কোটি রুপি।
আর আয় হিসেবে সিনেমাগুলো মুক্তির পর স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল থেকে আসে ৮০-৯০ কোটি রুপি। সিনেমাগুলোর মিউজিক হস্তান্তর করে আসে ১০ কোটি রুপি। সবশেষে থিয়েটারে ৯৫-১০০ কোটি রুপির ব্যবসা দিয়ে সবমিলিয়ে ২০০-২২০ কোটি রুপি আয় ঘরে তুলতে পারে অক্ষয় অভিনীত সিনেমাগুলো।
এই হিসেবে বক্স অফিসে অক্ষয়ের সিনেমাগুলোর লোকসানের ভয়টা কম। আর সেজন্যই মোটা দাগে পারিশ্রমিক দিয়েও অক্ষয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখান প্রযোজকরা।
তবে সকল পরিচালকের ক্ষেত্রেই আবার পারিশ্রমিকের মান সমান নয় অক্ষয়ের কাছে। তার পরিচালক বন্ধু সাজিদ নাদিওয়ালার সিনেমায় অভিনয়ের সময় তার পারিশ্রমিক ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, অক্ষয় বর্তমানে বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে সুরাইয়াভানসী, আটরঙ্গি রে, পৃথ্বীরাজ, রাম সেতু, মিশন লাওন, রক্ষাবন্ধন ইত্যাদি।
নদী বন্দর / জিকে