ফরিদপুরে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত তিনদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ২০ টাকা। পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত তিনদিন আগেও ফরিদপুরের পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫-২৮ টাকা। যা খুচরা বাজারে ছিল ৩৮-৪০ টাকা। গত শুক্রবার ও শনিবার থেকে ফরিদপুরে পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করে। সোমবার (৪ অক্টোবর) জেলার বিভিন্ন বাজারে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। তবে দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ জানাতে পারেনি ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে।
শহরের চকবাজার সাপ্তাহিক হাট ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের আমদানি কম। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা, সে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়। জেলার বোয়ালমারী, মধুখালী, সদরপুর, সালথা, নগরকান্দাসহ অন্য উপজেলার হাট-বাজারেও পেঁয়াজের দাম একইভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ী মো. আলী শেখ জানান, তিনদিন ধরে পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাড়ছে। আড়তদারদের কাছ থেকে গত কয়েকদিন আগে যে পেঁয়াজ প্রতিমণ ১১০০-১১২০ টাকা দরে কিনেছি। সেই পেঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে ১৬০০ টাকায়। ফলে এছাড়া পরিবহন খরচ ও ঘাটতি পূরণে ৬০ টাকার কমে বিক্রি করলে কোনো লাভ হয় না।
হাজী শরিয়তুল্লাহ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী জিন্নাত হোসেন জানান, পেঁয়াজের বাজারে হঠাৎ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কেন এমন হয়েছে, তা বলতে পারবো না। পেঁয়াজের জন্য প্রসিদ্ধ ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে বেশি দামে বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছি।
তিনি আরও জানান, চাষিরা পেঁয়াজ মজুদ রাখায় হয়তো বাজারে অস্থিরিতা তৈরি হয়েছে। তবে বাজারে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজ মজুদ রেখে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। প্রশাসনের বাজার মনিটরিং জোরদার করা উচিৎ।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ফরিদপুর জেলার সভাপতি শেখ ফয়েজ আহমেদ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। বাজার মনিটরিং জোরদার করে এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি।
নদী বন্দর / পিকে