1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মান্না দে চলে যাওয়ার ৮ বছর - Nadibandar.com
শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২১
  • ১০৪ বার পঠিত

ফেলে আসা শৈশব-কৈশোর ও বন্ধুত্ব, দেশপ্রেম, গুরুজন ভক্তি, মানব-মানবীর প্রেম-বিরহ, প্রার্থনা; নানা অনুভূতি প্রকাশে বাঙালি তার গানের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। গানে গানে তিনি সাধনা করে গেছেন আজীবন। যার গান যুগ যুগ ধরে টিকে আছে ঐতিহ্যের মতো। তিনি মান্না দে।

আজ উপমহাদেশীয় এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে মান্না দে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন। তার গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গান এখনো শ্রোতা-ভক্তদের মুখে মুখে।

মান্না দের আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। ১৯১৯ সালের ১ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ডাক নাম মানা থেকে তিনি মান্না হয়ে ওঠেন। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটিসহ প্রায় ২৪টি ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও বেশি সময় সংগীত চর্চা করেছিলেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাকে ভারতীয় গানের ভুবনে সবর্কালের অন্যতম সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করেন সংগীত বোদ্ধারা।

তার স্মরণে উত্তর কলকাতায় তার বাসস্থানের কাছে মর্মর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।

মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে’র হাত ধরে বলিউডের সিনেমায় অভিষেক হয় মান্না দে’র। কাকার সংগীত পরিচালনায় ‘তামান্না’ সিনেমায় প্রথম একটি ডুয়েট গানে কণ্ঠ দেন তিনি। একক গায়ক হিসেবে ‘রামরাজ্য’ সিনেমায় প্রথম সুযোগ আসে। ১৯৪৩ সালে সেই সিনেমায় ‘গায়ি তু তো গায়ি সীতা সতী’ গানে কণ্ঠ দেন তিনি।

১৯৫০ সালের ‘মাশাল’ সিনেমার মাধ্যমে শচীন দেববর্মণের সঙ্গে মান্না দে’র জুটি তৈরি হয়। ভারত জুড়ে মান্না দে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ১৯৫৩ সালে ‘দো বিঘা জমিন’ সিনেমা মুক্তির পর। সলিল চৌধুরীর সুর ও সংগীতে এই সিনেমার গানেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।

২০০৫ সালে বাংলাভাষায় তার আত্মজীবনী ‘জীবনের জলসাঘরে’ প্রকাশিত হয়। পরে এটি ইংরেজিতে ‘মেমরীজ কাম এলাইভ’, হিন্দিতে ‘ইয়াদেন জি ওথি’ এবং মারাঠী ভাষায় ‘জীবনের জলসাঘরে’ নামে অনুদিত হয়েছে। মান্নাদে’র জীবন নিয়ে ‘জীবনের জলসাঘরে’ নামে একটি তথ্যচিত্র ২০০৮ সালে মুক্তি পায়। মান্নাদে সঙ্গীত একাডেমি মান্নাদে’র সম্পূর্ণ আর্কাইভ বিকশিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করছে। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, কলিকাতা সঙ্গীত ভবনে মান্নাদে’র সংগীত সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে।

মান্না দেকে ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ, ২০০৭ সালে দাদাসাহেব ফালকে, ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ প্রদান করা হয়।

যদি কাগজে লিখ নাম, কতদিন দেখিনি তোমায়, খুব জানতে ইচ্ছে করে, সবাই তো সুখি হতে চায়, আবার হবে তো দেখা, এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি, তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়, পৌষের কাছাকাছি রোদমাখা সেই দিন, শাওন রাতে যদি, সে আমার ছোট বোন, জানি তোমার প্রেমের যোগ্য আমি তো নই, ক ফোঁটা চোখের জল, কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেইসহ বহু কালজয়ী ও শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়ে গেছেন বাংলা গানের রাজ্যে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com