ইউরোপের অস্ট্রিয়ায় করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা মোকাবিলায় যারা পুরোপুরি টিকা নেননি তাদেরকে লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। টিকা না নেওয়া এরকম ২০ লাখ মানুষকে লকডাউনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হচ্ছে লকডাউন। খবর বিবিসির।
লকডাউনের মধ্যে থাকা মানুষরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজন, যেমন কাজ বা খাবার কেনা ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না। বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর আলেক্সান্ডার শ্যালেনবার্গ বলেন, আমরা এই পদক্ষেপকে হালকাভাবে নিচ্ছি না, এটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবতা হলো আমরা এক-তৃতীয়াংশ জনগণকে বলছি যে, আপনারা নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া নিজেদের অ্যাপার্টমেন্ট ত্যাগ করতে পারবেন না।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী উলফগ্যাং মুকস্টেইন বলেন, নতুন এই বিধিনিষেধের আওতায় ১২ বছরের কম বয়সী শিশু ও সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা থাকছেন না।
সরকারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, পুলিশ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাবে মানুষের টিকা নেওয়ার অবস্থান জানার জন্য। যদিও বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছেন না দেশটির অনেকেই। যেখানে গত সাত দিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার প্রতি লাখে আটশর বেশি, যা গোটা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম অবস্থা সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, অস্ট্রিয়ার ৬৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছেন, যা পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে টিকাদানের এটি সর্বনিম্ন হার।
পুরো ইউরোপজুড়ে করোনার চতুর্থ ঢেউ হানা দিয়েছে। ফলে করোনা ঠেকাতে আবারও বিধিনিষেধ ও সতর্কতা জারি করছে অস্ট্রিয়ার মতো ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোও। ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ভয়াবহ ইঙ্গিত দিয়েছেন। পরিস্থিতির সামাল দিতে না পারলে আরও বহু মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তারা।
নদী বন্দর / সিএফ