নবম কি দশম শ্রেণির ছাত্রী তখন। বাবার ঘর থেকে চুরি করে প্রথম ধূমপান করেন। অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘সেই প্রথম সুখটান। মনে হয়েছিল যেন স্বর্গ সুখ!’ তবে সেই সুখ আপাতত অ-সুখের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। গলায় ব্যথা। তাই ধূমপান ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই ঘোষণা দেন তিনি। শ্রীলেখা বলেন, ‘গলায় সারাক্ষণ অস্বস্তি। দম নিতেও কষ্ট হচ্ছে। সারাক্ষণ বুকে যেন চাপ ধরা ভাব। ফুসফুসে যেন বাতাসের অভাব!’
শ্রীলেখা জানান, তিনি চিকিৎসকের কাছে গেলেই সবার আগে তাকে ধূমপান ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। তাই নিজেই সেই রাস্তায় হাঁটবেন বলে ঠিক করেছেন। ফেসবুকেও জানিয়েছেন সেই কথা। এবার সত্যি সত্যিই ধূমপান ছাড়বেন তিনি।
ধূমপান নিয়ে শ্রীলেখার ঝুলিতে অনেক মজার স্মৃতি। কথায় কথায় জানিয়েছেন, বেশ ছোট বয়স থেকে ধূমপান শুরু। বাবার অজান্তে। ঘরের ফুলদানিতে ছাই ফেলতেন। তারপর নিজের গায়ে, ঘরে ছড়িয়ে দিতাম সুগন্ধি। বাবা যাতে কিছুতেই টের না পায়। এমনই দস্যিপনা ছিলো তার।
বড় হয়ে একদিন ধরা পড়লেন বাবার হাতে। বাবা কথা শুনিয়ে বলে গেলেন, ‘এক হাট লোকের মাঝে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ে ফুক ফুক করে ধোঁয়া ছাড়ছেন! দেখে মনে হচ্ছিল মেট্রো রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করি।’
ধূমপানের কারণে বাবার হাতে মারও খেয়েছেন শ্রীলেখা। তবু ধূমপান ছাড়তে পারেননি। এই নেশা তাকে শ্বশুরমশাইয়ের ঘর থেকেও সিগারেট চুরি করতে বাধ্য করেছিল!
ধূমপান নিয়ে বলতে বলতে বাবার স্মৃতিচারণ করে আবেগে আক্রান্তও হলেন শ্রীলেখা। তিনি বলেন, ‘যে বাবার থেকে নেশা করতে শিখেছিলাম, তিনি শেষের দিকে আমার সিগারেট চুরি করে খেতেন।’
বাবার শেষ যাত্রায় তাই তার বুক পকেটে দামি সিগারেটের একটি প্যাকেট দিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীলেখা এবং তার ভাইয়ের বৌ।
নদী বন্দর / এমকে