ইথিওপিয়ায় দুই সপ্তাহ আগে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর অন্তত এক হাজার মানুষকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই তাইগ্রের জাতিগত সম্প্রদায়ের লোক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় জাতিসংঘ। খবর আল-জাজিরার।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান কমিশনার এক বিবৃতিতে ইথিওপিয়ায় এক হাজার জনকে আটকের বিষয়টি জানান। যাদের অধিকাংশই তাইগ্রে অঞ্চলের।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজেরিক এক বিবৃতিতে বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নির্বিচারে আটক ও গ্রেফতারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেননি ইথিওপিয়ার সরকারের মুখপাত্র লেগেসি তুলু। তবে দেশটির পুলিশ আগে জানিয়েছিল তারা শুধু টিপিএলএফ-এর সমর্থকদের আটক করছে, তাইগ্রের জাতিগত সম্প্রদায়ের কাউকে নয়।
আইনজীবীরা বলছেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর এক হাজার জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন কর্মীও রয়েছেন। জাতিসংঘের আরেক কর্মকর্তা জানান, সংস্থাটির ১০ কর্মী ও ৩৪ জন চালক এখনও আটক আছেন। আমরা তাদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই।
ইথিওপিয়ায় পুরো দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় গত ২ নভেম্বর। তাইগ্রের বিদ্রোহীদের আমহারা অঞ্চলের দুটি এলাকা দখলে নেওয়ার দাবি করার পর রাজধানী আদ্দিস আবাবার দিকে অগ্রসর হওয়ার শঙ্কায় এ ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।
ছয় মাসের জন্য জরুরি অবস্থা কার্যকর করা হয় দেশটিতে। ফলে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সামরিক বাহিনী যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেসব এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। ঘর থেকে বের হলেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছে দেশটির নাগরিকরা। কথিত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কারো সম্পৃক্ততার সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হচ্ছে বলে আগে থেকেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিল।
এক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে তাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) সদস্য ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবে আহমেদের সরকারি বাহিনীর মধ্যে।
নদী বন্দর / এমকে