গোপালগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু হত্যা মামলায় ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই ৫ আসামির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ার নতুন চন গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে খালিদ ফকির, আনিচ ফকিরের ছেলে মো. বিপুল ফকির, শুকুর মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর গ্রামের মো. খলিল শেখের ছেলে মো. হাসান শেখ ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চাচাই গ্রামের মো. খোকন মোল্লার ছেলে মো. ফসিয়ার মোল্লা। আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খালিদ ফকির ফোন করে জাহিদুল ইসলাম বাবুকে জেলা শহরের কাঁচাবাজার সংলগ্ন মেইন রোডে আসতে বলেন। পরে ইজিবাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার গোলাবাড়ীয়ার বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
একই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভুলবাড়ীয়া ব্রিজের সড়কের পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিন জাহিদুল ইসলাম বাবুর বাবা মো. নজরুল মোল্লা বাদী হয়ে খালিদ ফকির ও রাজ্জাক মোল্লাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মো. হাসান শেখের বাড়ি থেকে ইজবাইকটি উদ্ধার করে।
এরপর পুলিশ ওই ৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
আদালতে সরকার পক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল রহমান খান মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার বাদী ও নিহতের বাবা মো. নজরুল মোল্লা বলেন, আমার ছেলেকে এই ৫ জনে হত্যা করেছে। দীর্ঘদিন পর আমি ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। আমাদের দাবি দ্রুত এ রায় কার্যকর করা হোক।
নদী বন্দর / জিকে