গত চার বছরের মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বরে জাপানের কারখানাগুলোর কার্যক্রম দ্রুত গতিতে বাড়ছে। সংকটপূর্ণ সরবরাহ সমস্যা দূর করার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনকারীদের উৎপাদন ও ক্রয়াদেশ বেড়েছে। বুধবার (১ ডিসেম্বর) আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনও দেশটির কারখানাগুলোতে খরচের চাপ একটি সমস্যা হিসেবেই রয়ে গেছে। কারণ উপকরণের ঘাটতি এবং দেরিতে সরবরাহের কারণে উৎপাদন খরচ ১৩ বছরে মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
নভেম্বরে চূড়ান্ত আউ জিবুন ব্যাংক জাপান ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) মৌসুমভিত্তিক সামঞ্জস্যের ভিত্তিতে ৫৪ দশমিক ৫-এ উন্নীত হয়েছে। আগের মাসে এ সূচক ছিল ৫৩ দশমিক ২। ২০১৮ সালের পর থেকেই এই প্রক্রিয়া অব্যাহত ছিল। গত দশ মাস ধারাবাহিকভাবে দেশটির কারখানায় উৎপাদন কর্যক্রম বেড়েছে।
আইএইচএস মার্কিটের অর্থনীতিবিদ উসামাহ ভাট্টি বলেন, জাপানের উৎপাদনখাত চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মাঝামাঝি সময়ে অপারেটিং অবস্থার উন্নতি দেখতে পেয়েছে। নির্মাতারা লিড টাইমে একটি টেকসই ও চিহ্নিত অবনতির কথা উল্লেখ করেছেন। সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হলে উৎপাদন কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে বলেও জানান তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, গড় উৎপাদন খরচ বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে উপাদানের ঘাটতি ও লজিস্টিক ব্যাঘাত। এ বিষয়গুলোই খরচের বোঝা বাড়ায়। এছাড়া ২০০৮ সাল থেকেই দ্রুত গতিতে উৎপাদন মূল্য বাড়ছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তে দেখা গেছে, জাপানের শিল্পখাতের উৎপাদন প্রথমবার বেড়েছে অক্টোবরে। কারণ রাসায়নিক, ইস্পাত ও অন্যান্য খাতে দ্রুত গাড়ি উৎপাদন অফসেট হ্রাস পেয়েছে। করোনাভাইরাসের মহামারি কাটিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান খুব দ্রুতই পুনরুজ্জীবিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।