নাইজেরিয়ায় প্রায় ১০ লাখ টিকার ডোজ নষ্ট হয়েছে। গত মাসেই এসব টিকার ডোজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। ফলে এগুলো আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। দুটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলো যখন অতি সংক্রামক এই ধরনের সঙ্গে লড়ছে তখনই নাইজেরিয়ায় লাখ লাখ করোনার ডোজ নষ্ট হওয়ার খবর সামনে এলো।
ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা টিকার ওপর জোর দিচ্ছেন। আরও বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ হচ্ছে নাইজেরিয়া। দেশটিতে ২০ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করে। এর মধ্যে মাত্র চার শতাংশের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
নাইজেরিয়ায় টিকার যে ডোজগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে সেগুলো ছিল ইউরোপ থেকে পাঠানো অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ ছিল। কোভ্যাক্সিন কর্মসূচির আওতায় এগুলো নাইজেরিয়ায় পাঠানো হয়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগেই এসেছে ফলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আপ্রান চেষ্টা করলেও সেগুলো সময় মতো লোকজনকে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, কি পরিমাণ টিকার ডোজ নষ্ট হয়ে তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, যা কিছু করা সম্ভব তার সবকিছুই করার চেষ্টা করছে নাইজেরিয়া। এখন সরবরাহও অপ্রত্যাশিত এবং অনেক বেশি টিকা পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, টিকার অনেক ডোজ নষ্ট হয়েছে। তবে কি পরিমাণ নষ্ট হয়েছে তারা সেটা স্পষ্ট করেনি।
বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি শেষ করতে আফ্রিকার দেশগুলোতে টিকার উচ্চ হার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আফ্রিকার মাত্র ১০ কোটি ২০ লাখ অর্থাৎ মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। কর্মী, সরঞ্জাম এবং তহবিলের ঘাটতি টিকা কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
নদী বন্দর / জিকে