‘ফুটপাথ’ ছবির হাত ধরেই বলিউডে নিজের জার্নি শুরু করেন ইমরান হাসমি। এরপর ২০০৪ সালে ‘মার্ডার’ সিনেমা তাকে পরিচিতি দেয়। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন নায়িকার সঙ্গে অন্তঃরঙ্গ দৃশ্যে দেখা গেছে ইমরানকে। মল্লিকা শেরাওয়াত, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ, তনুশ্রী দত্ত, নার্গিস ফাকরিসহ অনেক জনপ্রিয় নায়িকাকে পর্দায় চুম্বন করতে দেখা গেছে ইমরান হাসমিকে। এবার এমন এক ঘটনা সামনে এলো যা চমকে যাওয়ার মতো।
আজহার সিনেমাতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন নার্গিস ও ইমরান। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককে নিয়ে তৈরি এই বায়োপিকে সংগীতা বিজলানির চরিত্রে দেখা যায় নার্গিসকে। ছবিতে বেশ কয়েকটি চুম্বনের দৃশ্য ছিল। এমনই একটি দৃশ্যে নার্গিসকে চুম্বনরত ইমরান পরিচালক কাট বলার পরও থামেননি। ক্যামেরা বন্ধ হওয়ার পরও চুমু চলছিল।
ভারতের সংবাদমাধ্যম এইসময় ডিজিটাল জানায়, ২০১৬ সালে এই ছবির শ্যুটিং করতে বিদেশে যান নার্গিস ও ইমরান। একটি গানের শুটিং করছিলেন তারা। গানটি ছিল ‘বোল না দো জারা’। লন্ডনের শীতে ধারণ করা হয়েছিল পুরো গানটি। প্রায় পাঁচটি চুম্বনের দৃশ্য ছিল নার্গিস ও ইমরানের।
একটি সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানান, তিনি জানতেনই না যে একবার দুবার নয়, পাঁচবার লিপলক করতে হবে ইমরানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘পাঁচবার চুমু খাওয়ার কথা ছবির চুক্তিপত্রে ছিল না। আমি তো ভেবেছিলাম এক্সট্রা চার্জ করবো পাঁচবার চুমুর জন্য। আমি জানতাম ইমরান মনে মনে খুব খুশি হয়েছে। যদিও মুখে বলেছে ও কিছুই জানতো না। আমি জানতাম ও মিথ্যা বলছে।’
নার্গিস আরও জানান, তিনি গানটি ধারণ করার সময় পরিচালক অ্যাকশন বলার সঙ্গে সঙ্গেই ইমরান তাকে চুমু খেতে শুরু করেন। তবে পরিচালক কাট বলার পর চুমু থামাননি নার্গিস। হতভম্ব হয়ে যান ‘চুম্বণসম্রাট’ ইমরানও।
আসলে পুরো ঘটনাটি মজা করেই করেছিলেন নার্গিস। যদিও ডার্টি পিকচারের সময় থেকে পর্দায় চুমুর দৃশ্য করা বন্ধ করতে শুরু করেন ইমরান। ইমরান জানান, পর্দায় চুমু খেতে খেতে তিনি ক্লান্ত। প্রতি ছবিতে প্রায় ২০টির মতো চুমু খেতে হতো তাকে।
নদী বন্দর / এমকে