দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবশিষ্ট জেলাগুলোতে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল জানান, সভায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবশিষ্ট জেলাগুলোতে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য দলের মহাসচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচির আওতায় গত ২৯ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালের উদ্দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় আক্রমণ, নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপরে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলিবর্ষণ, নেতাকর্মীদের মারাত্মকভাবে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। প্রকাশ্যে অগ্নেয়াস্ত্রসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছবি জাতীয় দৈনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা, গ্রেফতার না করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেফতার এবং বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। অবিলম্বে চিহ্নিত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারদের মুক্তি দাবি করা হয়।’
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী সরকার ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ, পটুয়াখালীসহ সারাদেশে একই কায়দায় নিজেরা হামলা করে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের ও বেশকিছু নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করেছে।’ সভায় অবিলম্বে সব মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘সভায় সম্প্রতি টঙ্গী ও চট্টগ্রামে র্যাবের নির্যাতনে দুইজনের মৃত্যুর যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলের মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানকে অনুরোধ করা হয়।’
নদী বন্দর / এমকে