‘ওই যে হিরো আলম।’ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বেলা আনুমানিক সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেটের কয়েকশ গজ দূর থেকে এ বাক্যটি ভেসে আসে। সঙ্গে সঙ্গে স্রোতের মতো শত শত মানুষ সেদিকে ছুটে যান। হাওয়াই মিঠাই রঙের ব্লেজার ও টি শার্ট পরিহিত চিকন গড়নের বহুল আলোচিত হিরো আলমকে ঘিরে ধরেন অসংখ্য ভক্ত।
‘আলম ভাই, আলম ভাই’ ধ্বনিতে রাজপথ মুখরিত হয়ে ওঠে। এত মানুষের ভিড়ে হিরো আলমকে অসহায়ের মতো এদিক-সেদিক তাকাতে দেখা যায়। এসময় কারওয়ান বাজার থেকে হাতিরঝিলমুখী রাস্তায় যানজট লেগে যায়।
ভিড় ক্রমেই বাড়তে থাকায় বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে। এসময় ভক্তদের চাপে চিড়েচ্যাপটা প্রায় হিরো আলমকে রক্ষা করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাকে উদ্ধার করে। এতে কোনোভাবে রক্ষা পান হিরো আলম।
আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের বহুল আলোচিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। যার একটির নেতৃত্ব আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ। অন্য প্যানেলের নেতৃত্বে মিশা সওদাগর-জায়েদ খান। সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
হিরো আলম চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য নন, তাই ভোটাধিকারও নেই। তিনি নির্বাচন কেমন হচ্ছে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু বিএফডিসির গেটে আসার আগেই তিনি ভক্তকুলের ‘অম্লমধুর’ বেড়াজালে বন্দি হন।
সরেজমিন দেখা গেছে, হিরো আলম শিল্পী সমিতির সদস্য না হলেও নানা কারণে ভক্তদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। তার সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য শত শত ভক্ত পাগলের মতো ধাক্কাধাক্কি করে ছুটে এসে মোবাইল ফোনে ছবি তোলেন। ভিড়ে হিরো আলমের চিড়েচ্যাপটা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এসময় পুলিশ এসে ভক্তদের লাঠিচার্জ করে তাকে উদ্ধার না করলে বড় কোনো দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো।
নদী বন্দর / জিকে