ভারতের মহারাষ্ট্রের ভান্ডারা জেলা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ১০ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ মর্মান্তিক ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট করে মৃত শিশুদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।
শনিবার সকালে টুইটবার্তায় মোদি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের ভান্ডারায় হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা। আমরা অনেক কমবয়স্কদের হারিয়েছি। শোকসন্তপ্ত পরিজনদের সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে আশাপ্রকাশ করছি।’
কিছুক্ষণ পর টুইটবার্তায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন রামনাথ কোবিন্দ। তিনি লেখেন, ‘মহারাষ্ট্রের ভান্ডারায় অগ্নিকাণ্ডে সদ্যোজাত শিশুদের অকালমৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এই হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনায় যারা নিজেদের সন্তান হারিয়েছেন, তাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, রাত দেড়টার দিকে ভান্ডারা জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে আগুন লাগে। ভান্ডারার সিভিল সার্জন প্রমোদ খানদাতে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার সময় সেখানে ১৭ জন শিশুর চিকিৎসা চলছিল। রাত দেড়টার দিকে একজন নার্স সর্বপ্রথম সেই বিভাগ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তিনি দ্রুত হাসপাতালের কর্মী ও চিকিৎসকদের খবর দেন।
প্রাথমিকভাবে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন হাসপাতালের কর্মীরা। এরপর দ্রুত খবর পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিসে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১০ শিশুর।
ইতোমধ্যে মৃত শিশুদের অভিভাবকদের অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে জানানো হয়েছে। যে সাত শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের অন্য একটি ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সুরক্ষাজনিত কারণে আইসিইউ ওয়ার্ড, ডায়ালিসিস উইং ও লেবার ওয়ার্ডের রোগীদেরও অন্যত্র সরানো হয়েছে।
আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে শর্ট-সার্কিটের জেরে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে।
নদী বন্দর / পিকে