1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সি-বিচে পর্যটকের সমাগম বাড়ছে - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২
  • ১৪৭ বার পঠিত

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতে দেখা মেলে বাহারি রঙের বৃক্ষ আর সবুজের সমারোহ। সি-বিচটিতে একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি আর অন্যদিকে কেওড়া বন। আরও আছে মনমাতানো সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। তার মধ্যে বয়ে যাওয়া আঁকাবাঁকা ছোট ছোট নালা। জোয়ারের পানিতে সবুজ ঘাসের ফাঁকে নালাগুলো জোয়ারের শোঁ শোঁ আওয়াজে কানায় কানায় ভরে ওঠে।

কক্সবাজার থেকে খরচ কম কিন্তু মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যে ভরপুর বিশাল আয়তনের এই পর্যটন স্থানটি দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক এখানে ঘুরতে আসেন। সি-বিচটি সরকারিভাবে পর্যটনশিল্প হিসেবে ঘোষণা হওয়ায় সি-বিচে বাড়ছে পর্যটকের সমাগম। প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত থাকছে সি-বিচ এলাকা।

পর্যটকের সমাগম বাড়ায় বাড়ছে কর্মসংস্থানও। এদিকে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে সড়ক সংস্কারকাজ শুরু করেছে। গড়ে তোলা হবে হোটেল-মোটেল। সংশ্লিষ্টদের মতে, দ্রুত সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত হতে পারে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি স্থান।

গুলিয়াখালী সি-বিচে পর্যটকের সমাগম।

গুলিয়াখালী সি-বিচে পর্যটকের সমাগম।

জানা যায়, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করেছে সরকার। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শ্যামলী নবী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সমুদ্র সৈকত এলাকার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের ২৫৯.১০ একর জায়গায়কে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের চাপ কমাতে সংশ্লিষ্ট পর্যটন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকতকে সরকারিভাবে উন্নত করে পর্যটনপ্রিয় করে তোলার জন্য গুচ্ছ মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন যৌথভাবে সড়ক সংস্কারকাজ শেষ করেছে। বাকি আছে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ। হোটেল মোটেল জোন করতে জায়গা অধিগ্রহণ ও খাস জায়গা শনাক্তের কাজও শুরু করে।

গুলিয়াখালী সি-বিচে পর্যটকগুলিয়াখালী সি-বিচে পর্যটক।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাহাদাত হোসেন বলেন, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটনকেন্দ্রে রূপ দিতে অবকাঠামোর উন্নয়নসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের চাপ কমাতে গুলিয়াখালী সমুদ্রতীরকে বিশ্বমানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে ইনশাল্লাহ।

নদী বন্দর/এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com