২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওমায় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িবহরে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় অর্থশত সদস্য প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীকে দায়ী করে বালাকোটে ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালানোর দাবি করে মোদি সরকার। অভিযানে পাকিস্তানের অন্তত ৩০০ সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে এমন তথ্য জানালেন পাকিস্তানের সাবেক কূটনীতিক আগা হিল। শনিবার (৯ জানুয়ারি) হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতের অধিকাংশ গণমাধ্যমে এমন খবর ফলাও করে প্রকাশ হয়েছে।
তার মতে, ২০১৯-এর ২৬ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানে নিহত হয় সন্ত্রাসীরা। সাবেক এই কূটনীতিবিদ এক টিভি শোতে এমনটি জানিয়েছেন।
তার বক্তব্য অনুযায়ী ভারতীয় গণমাধ্যমে জানা যায়, ‘ভারত আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করাতে যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি হয়। হামলায় সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি ঘাঁটিতে ব্যাপক প্রাণহানি হয়। যদিও সার্জিক্যাল স্ট্রাইককে ভারতের মিথ্যা প্রচারণা অ্যাখা দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ।’
ভারতে ২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের আগে পুলওয়ামায় সিআরপিএফের গাড়িবহরে হামলা চালায় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। যদিও এই হামলার পেছনে কারা জড়িত তা প্রমাণ না হলেও জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদকে দায়ী করে নয়াদিল্লি। এর জেরে পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় অভিযানের দাবি তুলে ভারত। সে সময় ভারতের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাকিস্তানের ভেতর ঢুকে পড়ে। আটক করা হয় ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে। দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে তাকে সীমান্ত দিয়ে সম্মানের সঙ্গে ফেরত দেয় ইমরান খানের সরকার।
নদী বন্দর / পিকে