নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় গত এক সপ্তাহ ধরে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার শতাধিক স্কুলের মাঠ পানিতে চলিয়ে গেছে। বুধবার আটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দুদিনের মধ্যেই উপজেলার অধিকাংশ স্কুলের শ্রেণিকক্ষে পানি ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগবগজান, চৈতা, পোগলা, বাদে পোগলা, দক্ষিণ রানীগাঁও, নাগডড়া, নানীয়া, কৃষ্ণপুর, বেনুয়া, চাঁনকোনা, খলা, বড়খাপন, গোয়াতলা, ভাটিপাড়া, গঙ্গনগর, বৈছাজুরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক স্কুল মাঠ পানিতে চলিয়ে গেছে।
এ অবস্থায় কিছু কিছু শিক্ষার্থী নৌকা করে আবার অনেকে পানিতে ভিজে স্কুলে আসতে দেখা গেছে। তবে এ সময় স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আবুল কালাম, পলাশ সরকার, চান মিয়াসহ আরও বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানিয়েছেন স্কুলের আঙিনায় পানি থাকায় তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় আছেন।
খলা সরকারি প্রাথমিক বিদালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াছিন মিয়া বলেন, স্কুলের রাস্তা পানিতে ডুবে যাওয়ায় আমরা নৌকা করে স্কুলে যাই। কিন্তু স্কুলের চারপাশে পানি থাকায় খুব ভয় লাগে।
বাদে পোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ বিদ্যা মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় ঢলের পানি থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু আছে। তাছাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (স্যারের) নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে।
কলমাকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, উপজেলার প্রায় ৭০টি স্কুলের আঙিনায় পানি থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। আমরা যেসব স্কুলের আঙিনায় পানি আছে সেসব স্কুলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাছাড়া সব প্রধান শিক্ষককে স্কুলে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়াসহ সার্বক্ষণিক নজরে রাখতে বলা হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি এবং অতিবৃষ্টির প্রভাবে এই উপজেলার বিভিন্ন জনপথ পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং দ্রুত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নদী বন্দর/এবি