1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
কমলগঞ্জে পাঁচ বছরে ১০০০ হেক্টর পতিত জমিতে চাষাবাদ - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৮ বার পঠিত

পতিত অবস্থায় পড়ে থাকা জমি আবাদের আওতায় আনতে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সেচ সুবিধাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ৯টি ইউনিয়নে রবিশস্য ও বোরো মৌসুমে প্রতিবছরই চাষের আওতায় আসছে পতিত জমি। ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকরা একই সঙ্গে এক ফসলি জমিকে দ্বি-ফসলি, তিন ফসলি জমিতে রূপান্তর করছেন। এ ছাড়া যেসব জমি বা জলাশয় কখনো চাষ করা হয়নি, সেসব জমিতে শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে।

মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ বেড়েছে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে শুধু বোরো ধানের চাষ বেড়েছে ৭০০ হেক্টর জমিতে।  

স্থানীয় কৃষকরা দাবি করে বলছেন, পর্যাপ্ত সেচের ব্যবস্থা ও সরকারি প্রণোদনা প্রদান করলে আরো পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৭-১৮ মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান তিন হাজার ৯৪০ হেক্টর, সরিষা ৮৫ হেক্টর, সবজি এক হাজার ৩২০ হেক্টর ও আলু ৪৯০ হেক্টরসহ মোট পাঁচ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। যা পাঁচ বছরের ব্যবধানে ২০২১-২২ মৌসুমে এসে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৯০০ হেক্টরে। এর মধ্যে বোরো ধান ৭০০ হেক্টর বেড়ে মোট চার হাজার ৫১০ হেক্টরে চাষ করা হয়। এ ছাড়া সরিষা ১১৫ হেক্টর, সবজি এক হাজার ৫৮০ হেক্টর এবং আলু চাষ হয়েছে ৫২৫ হেক্টর জমিতে। এসব পতিত জমিতে চাষাবাদের জন্য কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ হতে কৃষকদের সেচ সুবিধার জন্য প্রায় ৫০টি সেচ পাম্প ও কৃষি সরঞ্জাম বিতরণ করেছে গত কয়েক বছরে। এতে করে কৃষকরা উৎসাহিত হয়ে প্রতিবছর পতিত জমিতে ধান ও নানা ফসল উৎপাদন করছেন।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে কৃষকরা সবজি ও বোরো ধানের প্রতি ঝুঁকেছেন। তারা বিভিন্ন পতিত জমিতে সরিষা, আলু, শাক-সবজি চাষ করছেন। এ ছাড়া বোরো ধানের বীজতলার জন্য পতিত জলাশয় প্রস্তুত করছেন। কৃষিতে খরচ বাড়লেও সারা বছর সবজিতে ভালো দাম পাওয়া যায়। এ জন্য জমিতে চাষ বেড়েছে।

উপজেলার শমসেরনগরের কৃষক কাইয়ুম মিয়া বলেন, গত তিন বছর ধরে আমরা এক একর জলাশয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছের সঙ্গে ধান আর শুষ্ক মৌসুমে সবজি চাষ করছি। অথচ এ জমিগুলো কয়েক বছর আগেও পতিত ছিল।

পৌরসভার শ্রীনাথপুর গ্রামের কৃষক মাহমুদ মিয়া ও মছকন আলী বলেন, আগে আমরা জমিতে শুধু আমন ধান চাষ করতাম। গত তিন-চার বছর ধরে একই জমিতে আউশ, আমন ও বোরো ধান চাষ করছি। এখন পরিবারের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করে বাকি ধান বাজারে বিক্রি করি।

স্থানীয় কৃষি উদ্যোক্তারা জানান, কমলগঞ্জের ইসলামপুর, আদমপুর, আলীনগর, মাধবপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে সেচ সুবিধা না থাকায় শত শত একর কৃষি জমি পতিত অবস্থায় পড়ে থাকে। কোনো কোনো কৃষক পাম্প কিনলেও অনেকেই টাকার অভাবে জমি চাষাবাদ করতে পারেন না। বিগত ২০১৭ সালে প্রথম বার মাধবপুরে পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহন করে। তার পর হতে বাড়তে থাকে পতিত জমিতে চাষাবাদ।  

উপজেলা কৃষি বিভাগ ও ইউপি পরিষদ সূত্রে জানা যায়, বিগত পাঁচ বছরে প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ হতে কৃষকদের মধ্য প্রায় ৫০টি সেচ পাম্প, সার, বীজ ও স্প্রে মেশিন প্রদান করা হয়।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, কয়েক বছর ধরে কমলগঞ্জে অনেক পতিত জমি চাষের আওতায় এসেছে। পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর সেচের ব্যবস্থাও বাড়ানো হচ্ছে। কৃষকরা পতিত জমিতে সরিষাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন। সেচ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করলে আরও পতিত জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com