হাওরাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জ। ধানই এই জেলার প্রধান সম্পদ। তাই ধান নিয়েই সকল আশা-ভরসা এ অঞ্চলের মানুষের। প্রতিটি হাওরে এখন অন্যরকম পরিবেশ বিরাজ করছে। জেলার প্রতিটি উপজেলার মাঠজুড়ে দুলছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।
দৃষ্টিসীমা ছাপিয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের সোনালী শীষ। আর এ দোলায় লুকিয়ে আছে হাজারো কৃষকের স্বপ্ন। পোকামাকড় ও রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ছাড়াই বেড়ে ওঠা ধানের শীষে ভরে গেছে পুরো মাঠ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোন বিপর্যয় না ঘটলে ভড়ে উঠবে এ অঞ্চলের কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনা। কিছুদিন পরেই তাদের স্বপ্নের ফসল ঘরে উঠবে এমন আশায় তাদের মনে দোলা দিচ্ছে অনাবিল আনন্দ।
আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক৷।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ৮১ হাজার ১ হেক্টর জমিতে রূপা আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর ১শ’ হেক্টর বেশি অর্থাৎ ৮২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
কৃষকদের বিনামূল্যে সার বীজ দেয়ায় কৃষকরা উজ্জিবিত হয়ে আমন চাষে আগ্রহ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগের আশা, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভালো ফসল উৎপাদন হবে।
কৃষক আব্দুল হেকিম বলেন, এবার আমন ধান ভালো হয়েছে। আর কয়েকদিন পর কাটা শুরু করা যাবে। ক্ষেতে রোগ-বালাই ও পোকা আক্রমণ করতে পারেনি।
কৃষক তারেক বলেন, এখন ধান ক্ষেতের পাশে দাঁড়ালে বুক জুড়িয়ে যায়। এ বছর তিন একর জমিতে আমন আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এবার অধিক ফলন হবে বলেও আশা করছেন তিনি।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল কান্তি সোম বলেন, এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আসছি। কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কোন প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।
নদী বন্দর/এসএইচ