পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী জানিয়েছেন, জনশুমারি প্রকল্পে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করছি। কেননা কৃষি শুমারিতে কাগজ-কলম ব্যবহার করতে গিয়ে ১৩ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে। কাগজ নষ্ট হয়েছে অনেক, কিন্তু তথ্য ধরা যাচ্ছিল না । অনেক দেনদরবার করে এই টাকা পাস করাতে হয়েছিল। এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিবিএসে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সচিব।
সচিবের পর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। কেনাকাটায় এমন ক্ষতিতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
এম এ মান্নান বলেন, ‘সচিব নতুন এসেছেন, আমরাও নতুন। অতীতে এখানে কিছু কিছু প্রকিউরমেন্ট হয়েছে। সেটা তিন বছর আগে। সচিবকে অনুরোধ করেছি— সেগুলোর বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখতে। সেগুলো ব্যবহার করা যায় কিনা তা দেখবেন উনি। কারণ যন্ত্রপাতির একটা বয়স আছে। এই যে এবার হলো ২০২১ সাল, ২০১৯ সালে কেনা হয়ে গেছে মাল। প্রকল্পটা পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং এখানে স্টোর করা আছে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য। সেগুলো খুবই স্পর্শকাতর। সচিব, মহাপরিচালক (মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম), প্রকল্প পরিচালককে বলব— আপনারা দেখবেন কাজে লাগবে কিনা।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখানে কিছু কিছু ব্যয় আছে। সেগুলোর বিষয়ে আমাদের সাবধান হতে হবে। যেমন একটা আইটেম হলো প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশন। দেখি মাঝেমাঝে আমার কাছে ১০ বা ৮ বছর আগের প্রকল্পের খাতা রাফ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য হাজির হয়ে গেছে। অনেক সময় অনেক জায়গায় যাই, পেন্সিল বা কলম চেষ্টা করেও লিখছে না। এগুলো আমরা সবাই বুঝি। সাপ্লাইয়ের মাল যারা দেন, তারাও তো দু-পয়সা বাঁচাতে চান।
তিনি বলেন, তার কাছে এটা ন্যায়সঙ্গত। আমাদেরকে যত্নবান হতে হবে। মাছের কানতা দেখে মাছ কিনি। লাল নাকি সাদা। আপনারা প্রকিউরমেন্টে যারা থাকবেন, প্লিজ ভেরি কেয়ারফুল। বিশেষ করে স্ট্যাশনারির মধ্যে টাকা বাঁচানোর স্কোপ আছে বলে আমার মনে হয়। আমি সরকারের বিভিন্ন অফিসে যাই, স্টেশনারির কাগজ, কলম পেন্সিল, ছোট কলম, বড় কলম বানানো হয়। বানান কিন্তু সাবধানে। যাতে কাজে লাগে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘টাকা আমাকে বাঁচাতে হবে। কারণ এটা তো জনগণের টাকা। যে লোক টাকা দিচ্ছে সে নিজে কিন্তু খরচ করতে পারছে না। তার ঘরে গিয়ে দেখেন, আমার মতো বসার কোনো চেয়ার-টেবিল নেই। তারা মেঝেতে বসে কাজ করছে। অথচ তারা দেশের মালিক।’
নির্বাচন কমিশনে কাজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনে চাকরি করেছিলাম কয়েক বছর। বহু বছর আগে। নির্বাচনের জন্য কী কী সব সরঞ্জাম কেনা হয়েছিল। হাজার হাজার কেনা হয়ে আছে স্টক ছিল, জমে পাথর হয়ে গেছে। এরকম জিনিস আমি দেখে এসেছি ওখানে। এটা হওয়া উচিত নয়।’
নদী বন্দর / পিকে