গাজায় প্রতিদিনই নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। দিনের পর দিন নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর এই আগ্রাসন থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই সেখানে প্রায় ৩২ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ৯২৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৪ হাজার ৯৬ জন।
সংঘাত বন্ধের বদলে গাজায় হামলা আরও তীব্র করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন রিপাবলিকান সিনেটরদের বলেছেন, হামাসকে পরাজিত করার জন্য তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এ বিষয়ে এক সিনেটর বলেন, তিনি (নেতানিয়াহু) যা করতে যাচ্ছেন তা তিনি করতে চলেছেন। তিনি এটি শেষ করতে যাচ্ছেন।
তাদের এই আলাপ থেকে এটা স্পষ্ট যে ইসরায়েলি বাহিনী এখনই যুদ্ধ থামাচ্ছে না। গাজার আল-শিফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনী চতুর্থ দিনের মতো অভিযান শুরু করেছে। সেখানে বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ওই হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘ সময় আটক থাকা এবং নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন।
সম্প্রতি গাজা ইস্যুতে সৌদির প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার (২০ মার্চ) জেদ্দায় তাদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, মোহাম্মদ বিন সালমান ও ব্লিঙ্কেন গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধসহ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন। ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং মানবিক পরিস্থিতি নিয়েও দুইজনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
ব্লিঙ্কেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান এই মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক। জেদ্দায় এক সক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমছে এবং একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করা সম্ভব। বৃহস্পতিবার অন্যান্য আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে মিশর যাবেন তিনি। এরপরের দিন ইসরায়েল সফরের কথা রয়েছে তার।
নদী বন্দর/এবি