1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চট্টগ্রাম উপকূলের ৫০ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ - Nadibandar.com
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪
  • ২৩ বার পঠিত

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকার ১২ বাহিনীর ৫০ জলদস্যু। এর মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১ টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পতেঙ্গায় র‌্যাব-৭ এর এলিট হলে আত্মসমর্পণ করেন তারা। এ ৫০ জনের মধ্যে তিনজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু। জলদস্যুদের পক্ষে ১১ জন তাদের অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে জমা দেন।

এ প্রসঙ্গে র‌্যাব বলছে, চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার হাজার হাজার উপকূলবর্তী মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় চিহ্নিত জলদস্যু ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। এসব মানুষের মধ্যে অনেকে জলদস্যুদের দ্বারা অত্যাচারিত হয়ে দুঃসহ জীবনযাপন করছেন। আর এলাকার স্থানীয় অস্ত্র কারিগররা প্রতিনিয়ত জলদস্যুদের দেশীয় অবৈধ অস্ত্রের বড় একটি অংশ সরবরাহ করে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকায় জলদস্যুদের দমন, দেশীয় অস্ত্র তৈরির কারিগর ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে র‌্যাব প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আজকের এ আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল জলদস্যুমুক্ত হবার পথে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলের সাগরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম আগামীর দিনগুলোতে আরও বেগবান হবে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ছাড়াও র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নুরে আলম মিনা, র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ, কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি আছেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমানার একটি বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এই সাগরকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন ও জীবিকা। বিশাল এই উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর উপার্জনের অন্যতম আশ্রয়স্থলকে কণ্টকাকীর্ণ করে রাখে কিছু অস্ত্রধারী বিপথগামী জলদস্যু। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলে র‌্যাবের কঠোর পদক্ষেপের ফলে ২০১৮ এবং ২০২০ সালে র‌্যাব-৭ এর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চল হতে সর্বমোট ৭৭ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে।’

‘এরআগে র‌্যাব-৭, র‌্যাব-৬ এবং র‌্যাব-৮ এর তত্ত্বাবধানে বাঁশখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চল হতে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া অবলোকন করার ফলেও এসব জলদস্যুরা আত্মসমর্পণে অনুপ্রাণিত বোধ করে। প্রধানমন্ত্রীর সদয় সম্মতিতে এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করানোর বিষয়টি এক যুগান্তকারী ঘটনা। এতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে জলদস্যু বাহিনীর অপতৎপরতা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।’

জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের মধ্যস্থতা করেন চট্টগ্রামের সাংবাদিক মীর মোহাম্মদ আকরাম হোসাইন। তিনি বলেন, ‘আজ চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলের চিহ্নিত অস্ত্রের কারিগর ও কুখ্যাত বেশ কয়েকটি জলদস্যু বাহিনীর সর্দার ও সদস্যরা সদলবলে আত্মসমর্পণ করেছে।’

তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর মহেশখালী আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলের ৪৩ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করে। ২০১৯ সালে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৯৬ জন, ২০২০ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন দুর্ধর্ষ বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু অস্ত্র গুলি জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে।

নদী বন্দর/এসএইচ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com