ক্যাথলিক চার্চ ও ভ্যাটিকান সিটি স্টেটের প্রধান খ্রিষ্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস আর নেই। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে ৯ দিনের শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভ্যাটিকান। সারাবিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায় যেন তাদের প্রয়াত ধর্মীয় গুরুকে শেষ দেখা দেখতে পারেন সেজন্য ৯ দিন মৃতদেহ ভ্যাটিকানে শায়িত থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজনে থাকবে না আগের মতো জাঁকজমকপূর্ণ আচার-অনুষ্ঠান বলে ঘোষণা দিয়েছে ভ্যাটিকান। জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেই একটি সরল ও সংক্ষিপ্ত প্রক্রিয়ার পক্ষে সম্মতি দিয়েছিলেন।
আগের পোপদের তিন স্তরের কফিন—সাইপ্রাস, সিসা ও ওকের তৈরি কফিনে সমাহিত করা হতো। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিসের জন্য নির্ধারিত হয়েছে একটি সাধারণ কাঠের কফিন, যার ভেতর থাকবে দস্তার আস্তরণ।
আরেকটি বড় পরিবর্তন হলো, তার দেহকে আর সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় ‘কাটাফাল্ক’ নামক উঁচু মঞ্চে সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য রাখা হবে না। বরং, কফিনের ঢাকনা খুলে রাখার মাধ্যমে মানুষকে সম্মান জানাতে আহ্বান জানানো হবে।
পোপ ফ্রান্সিস হবেন গত এক শতাব্দীর মধ্যে প্রথম পোপ যাকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাহিত করা হবে। পোপ ফ্রান্সিসকে সমাহিত করা হবে রোমের চারটি প্রধান প্যাপাল ব্যাসিলিকার একটি—সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকায়।
২০১৩ সালে ষোড়শ বেনডিক্টের ইস্তফার পর পোপের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ফ্রান্সিস। সাদামাঠা জীবন যাপনেই অভ্যস্ত ছিলেন। জীবিত কালেই ভ্যাটিকানের পদাধিকারীদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, মৃত্যুর পরে তাকে সমাহিত করার জন্য যেন রাজকীয় আয়োজন না করা হয়। সেই ইচ্ছাকে সম্মান দিয়েই সাদামাঠাভাবে আয়োজিত করা হচ্ছে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্য।
কার্ডিনাল কেভিন ফেরেল জানিয়েছেন, ‘প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস কখনই চাইতেন না তার নশ্বর দেহের শেষকৃত্য জাঁকজমকপূর্ণভাবে হোক। তার ইচ্ছাকেই মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’
নদীবন্দর/জেএস