ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত চেনাব নদীর ওপর বাগলিহার বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঝিলামের ওপর কিষাণগঙ্গা বাঁধেও পাকিস্তানে পানির প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেনাব নদীর ওপর নির্মিত বাগলিহার বাঁধে ভারতের এই পদক্ষেপের পাশাপাশি কিশনগঙ্গা বাঁধেও (যেটি ঝিলাম নদীর ওপর) একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে দিল্লি।
জম্মুর রামবানে অবস্থিত বাগলিহার বাঁধ এবং উত্তর কাশ্মীরে অবস্থিত কিশনগঙ্গা বাঁধ— এই দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ভারতের জন্য পানির প্রবাহের সময় নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পরই ভারত গত কয়েক দশকের পুরোনো চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি ১৯৬০ সাল থেকে সিন্ধু নদী ও এর উপনদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্যকর ছিল। তবে পহেলগাঁওয়ে ঘটনার একদিন পর (২৩ এপ্রিল) ভারত একতরফাভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই পানি বণ্টন চুক্তি বা সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে।
আর এর পরদিনই অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায় যে, তারা ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি কার্যকরভাবে স্থগিত করতে পারে এবং ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিতে পারে।
ভারতের দাবি, ২২ এপ্রিলের ওই হামলার সঙ্গে সীমান্ত পারের অর্থাৎ পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। যদিও এখন পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে কোনো দৃঢ় প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। বিপরীতে, পাকিস্তান এ অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এ ঘটনার স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, যাতে সত্য উদ্ঘাটন হয়।
নদীবন্দর/এএস