জাপান সরকারের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক পরামর্শক প্যানেল আগামী রোববার (২১ মার্চ) থেকে টোকিওর জরুরি অবস্থা তুলে নেয়ার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ইয়াসুহিসা নিশিমুরা। খবর রয়টার্সের।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বুধবার এ পরিকল্পনায় সম্মতি জানান বলে উল্লেখ করেন নিশিমুরা। তিনি বলেন, টোকিওসহ তিনটি প্রতিবেশী জেলায় হাসপাতাল শয্যার প্রাপ্যতা আরও বেড়েছে।
পরামর্শক প্যানেলের সঙ্গে বৈঠক শেষে নিশিমুরা বলেন, ‘পরিকল্পনা নিয়ে কোনও আপত্তি ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছেন এবং পুনরায় সংক্রমণ বৃদ্ধি অনিবার্য।
তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপর্ণ বিষয় হচ্ছে সংক্রমণ পুনরায় বৃদ্ধি পাওয়াটা যেন বড় আকারে না হয় সেটি নিশ্চিত করা- ঢেউগুলো ছোট আকারে রাখা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নাগরিকদের অনুরোধ জানাই সংক্রমণরোধে সাধারণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো যেন তারা মেনে চলেন।’
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনাটি চূড়ান্ত করা হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা সন্ধ্যা ৭:০০টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন।
এ বছরের জানুয়ারিতে টোকিওতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যায়। তখন সংক্রমণরোধে টোকিও ও এর আশাপাশের তিনটি এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
জরুরি অবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সুগা ৭০ শতাংশ উপস্থিতি কমিয়ে কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজে উৎসাহিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। সংক্রমিত এলাকাগুলোতে বাসিন্দাদের বিনা প্রয়োজনে বাইরে যেতেও নিষেধ করা হয়েছিল। সেসময় টোকিও, চিবা, সাইতামা ও কানাগাওয়া অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।
বুধবার টোকিওতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৯ জন, জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ দৈনিক আক্রান্তের রেকর্ড ছিল ২ হাজার ৫০২ জনে।
নদী বন্দর / পিকে