সমুদ্রতলের জীবন রক্ষায় প্রথমবারের মতো পানির নিচে জলবায়ু ধর্মঘট পালন করছেন সমুদ্র ও পরিবেশ বিজ্ঞানীসহ একদল পরিবেশ কর্মী। ‘ফিউচারস গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ এর অংশ হিসেবে পশ্চিমাঞ্চলীয় ভারতীয় মহাসাগরের সায়া দে মালহা ব্যাঙ্কে নেমে পড়েন তারা।
তারা জানান, সামুদ্রিক গাছগাছালির বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্ব ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যেই এই অভিনব আন্দোলন।
সায়া দে মালহা ব্যাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রতলের গাছগাছালি ও তৃণভূমির আবাস্থল। সিগ্রাস বা সমুদ্রের নিচের তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্ব বোঝাতেই সমুদ্রতলে ব্যতিক্রমী ধর্মঘট বলে জানান সমুদ্রবিজ্ঞানী ও পরিবেশ কর্মী শামা সান্দুয়া।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ক্ষতিকর কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণে বিশেষ ভূমিকা রাখে এই সিগ্রাস। এ ছাড়া সমুদ্রের হাজার হাজার জীবন এই সিগ্রাসের ওপর নির্ভরশীল। তবে ড্রেজিং, সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়াসহ নানা কারণে প্রতি বছর বিশ্ব তার ৭ শতাংশ সিগ্রাস হারাচ্ছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিবেশে মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মরিশাসের সমুদ্রবিজ্ঞানী শামা সান্দুয়া বলেন, সমুদ্রতলে এমন অনেক প্রাণী আছে যেগুলো সম্পর্কে আমরা কোনো কিছুই জানি না। অথচ তারা পরিবেশ রক্ষায় জাদুর মতো কাজ করে। মানুষের কারণে যেন এই প্রাণীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত।
অভিনব এই ধর্মঘট ও প্রচারণার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩০ শতাংশ ভূমি ও সমুদ্র রক্ষায় জাতিসংঘ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার দিকেও মনোযোগ কাড়তে চান আন্দোলনকারীরা।
নদী বন্দর / এমকে