টানা খরায় কাপ্তাই উপজেলার আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাহাড়ি ছড়া ও ঝরনাধারাগুলো শুকিয়ে গেছে। পাহাড়ি ছড়ায় পানি না থাকায় পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের পানির কষ্ট চরমে পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষ পানির জন্য দূর-দূরান্তে ছোটাছুটি করছে।
ঘাঘড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল দেওয়ান বলেন, ‘এই মৌসুমে ঠিকমতো খাওয়ার পানিও পাওয়া যায় না।’ ভাইজ্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা বলেন, ‘কাপ্তাই লেকের বিভিন্ন স্থানে পানি শুকিয়ে গেছে। তাই নৌচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।’
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা বলেন, ‘তীব্র খরার কারণে পাহাড়ি ছড়াগুলো শুকিয়ে গেছে। আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই।’ কাপ্তাই উপজেলার ৫ নম্বর ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চিরনজিত তনচংগ্যা বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় পানির সমস্যা প্রাকৃতিক। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে পানির এ রকম সমস্যা দেখা যায়। বৃষ্টি নামলে এই সমস্যা দূর হয়ে যায়। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্যা সঙ্গে নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ছড়া শুকিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পানির সংকটের কারণে স্থানীয়দের সুবিধার জন্য বিভিন্ন স্থানে ডিপ টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। আরও বেশি টিউবওয়েল বসানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
নদী বন্দর / পিকে