1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
৬০ বছর পর প্রাণ ফিরে পাচ্ছে গৌতমখালী নদী - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
  • ১৫৩ বার পঠিত

প্রায় ৬০ বছর পর পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর গৌতমখালীর মরা নদী খননের কাজ শুরু করায় প্রাণ ফিরে পাচ্ছে নদীটি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছেন এই নদীর তীরবর্তী ও সুবিধাভোগী এলাকাবাসী। নামে এটি নদী হলেও মূলত এটি একটি বড় খাল। এ নদীটি দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়ন, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন ও শর্শদী ইউনিয়ন দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। 

গৌতমখালীর মরা নদীর উৎপত্তি সিন্দুরপুর ইউনিয়নের শরিফপুর গ্রামের ছোট ফেনী নদী থেকে আবার একই জায়গায় এসে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গৌতমখালী মরা নদী খনন না হওয়ায় বৃষ্টির পানি নদীতে প্রবাহিত হওয়ার সময় পলি জমে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যায়। ফলে ফেনী সদর উপজেলা ও দাগনভূঞা এলাকায় বন্যা ও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কৃষি, মৎস্য ও মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নদীর খনন শেষ হলে সমৃদ্ধ হবে এই এলাকার কৃষি। বন্যা থেকে রক্ষা পাবে ফসলী জমি। 

ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প ১ম পর্যায়ের আওতায় দাগনভূঞা উপজেলার ছোট ফেনী নদীর শাখা গৌতমখালী মরা নদী পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। ১৯৫৯ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে গৌতমখালী মরা নদীর কোন খনন কাজ হয়নি। গৌতমখালী মরা নদীর খনন কাজ চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নদী খনন কাজের মেয়াদ শেষ হবে ২০ জুন। 

কৃষিবীদরা জানান এই খাল খনন করা শেষ হলে তিনটি ইউনিয়নের কৃষি আবাদ বাড়বে, প্রাকৃতিক মৎস্য উৎপাদন বাড়বে ও দুই পাড়ে সবুজ বনায়ন সৃষ্টি হবে ও মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এছাড়াও ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া, শর্শদী ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন হবে গৌতমখালী মরা নদী দিয়ে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে গৌতমখালী মরা নদী খনন হওয়ার কোন রেকর্ড নেই। এটিই প্রথম খনন কাজ। নদী খননের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা। এ নদীর দৈর্ঘ্য ২.৬০ কিলোমিটার, প্রস্থ ৪০ মিটার ও গভীরতা আড়াই থেকে পৌনে তিন মিটার। এই নদীতে শীতকালে কৃষি সেচের জন্য ২ মিটার পানি থাকবে। 

জানা যায়, মোহাম্মদ আলী বাজারের খালের পানি ও শর্শদীর খালের পানি এ মরা নদী দিয়ে নিষ্কাশন হবে। এ নদী থেকে কৃষকরা সহজে পানি নিতে পারবে। এ নদীটি খননের মূল উদ্দেশ্য হলো পানি নিষ্কাশন। এটা খনন করা হচ্ছে জলাশয় হিসেবে। এতদিন এটি ছিল মরা নদী। খনন করে এটিকে জীবিত করা হচ্ছে। এটি পানি নিষ্কাশনের কাজে, সেঁচের কাজে, প্রাকৃতিক মৎস উৎপাদন ও দুই পাড়ে বনায়ন হবে। এতে পরিবেশের উন্নয়ন হবে। এছাড়াও মানুষের কর্মসংস্থান ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হবে। তথা দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com