পুকুর খনন করে প্রাচীন কাঠের স্তম্ভ উদ্ধার করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ রায়হান। সম্প্রতি কুমিল্লার পাঁচথুবী ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামে প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানের সময় স্তম্ভটি উদ্ধার করেন তিনি। বর্তমানে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা আছে।
উদ্ধার করা স্তম্ভটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ ফুট। এতে সুন্দর কারুকাজ এখনও বিদ্যমান। এর কিছু অংশে এখনও হালকা নীল রঙের আস্তরণ রয়েছে। শিক্ষক মুর্শেদ রায়হান জানিয়েছেন, গবেষণা করলে এই নিদর্শন থেকে এ অঞ্চলের ইট ও কাঠের সমন্বয়ে নির্মিত স্থাপত্যের নানা দিকসহ ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা যাবে।
প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানের সময় গত ১৯ মার্চ প্রথমে স্তম্ভটি গবেষক দলের নজরে আসে। এ ছাড়া এ অনুসন্ধানের সময় নতুন প্রত্নস্থান শনাক্ত করা হয়েছে।
গবেষক ও শিক্ষক মুর্শেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উদ্ধার স্তম্ভটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের খুব কম স্থান থেকে এ ধরনের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এখন এটি সংরক্ষণ করা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, কাঠের স্তম্ভটি সংরক্ষণের জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকার প্রয়োজন। এ টাকা দিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান কিনে স্তম্ভটির সংরক্ষণে কাজ করা হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে প্রকল্প পেশ করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।