1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
দুধকুমার থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে নির্মাণ হচ্ছে সেতুরক্ষা বাঁধ - Nadibandar.com
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান তারেক রহমানের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা বিমান বিধ্বস্ত: নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জামায়াত আমিরের এবার রানওয়ে থেকে ছিটকে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিমান বিধ্বস্তে আহতদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন ‘একটু বলেন আমার মেয়ে কোথায় আছে’, সন্তানের খোঁজে মা উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত: জাতীয় বার্নে ২ মরদেহ, নারী ও শিশুসহ ৫০ জন চিকিৎসাধীন সাবেক নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক মারা গেছেন বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সহায়তার নির্দেশ
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৬৮ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে নির্মাণ করা হচ্ছে সোনাহাট নতুন সেতুরক্ষা বাঁধ। এই বাঁধ থেকে মাত্র ১০০ গজ এবং পুরাতন সেতুর পিলারের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে সোনাহাট রেলওয়ে পুরানা সেতু এবং নির্মিয়মান সোনাহাট নতুন সেতু। 

উল্লেখ্য, দুধকুমার নদের ওপর প্রায় দেড়শত বছরের পুরানা সেতুর দক্ষিণ পাশে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের (১৩টি পিলার সম্বলিত) সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু মটির স্তরের সমস্যার কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস থেকে নির্মিয়মান সেতুর কাজ বন্ধ রয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সেতুর উভয়পার্শ্বে ৮১৪ মিটার সেতুরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সেতুর পশ্চিম তীরে ৩১৪ মিটার বাঁধ নির্মাণ করছে এম এ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, বাঁধের টপ ৬ মিটার, স্লোপ ২০ মিটার এবং লাঞ্চিং এপ্রোন ২৮ মিটারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩১ টাকা। 

জানা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএ এন্টারপ্রাইজ সেতুরক্ষা বাঁধ থেকে ১ শত গজ এবং পুরাতন সেতুর পিলারের কাছ থেকে দুটি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে সেতুরক্ষা বাঁধের মাটির কাজ করছে। 

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসও মোস্তাফিজুর রহমান সুজন জানান, তিনি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করেছেন। তার দাবি, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে না। তাহলে বালু উত্তোলন করে বাঁধে কে ফেলছে? এ প্রশ্নের জাবাবে তিনি জানান, কে বা কারা ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাঁধে ফেলছে জানা নেই। জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহল সাব-কন্ট্রাকের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বাঁধে ফেলছে। 

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ম্যানেজার ফজলুল হক জানান, তার সাইটে কোনো বালু ফেলা হচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন বিক্রির উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করছেন। বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ড্রেজার মালিক গোলাপ মিয়া জানান, শাহজাহান সোহাগের নির্দেশে তিনি বালু উত্তোলন করছেন। এ ব্যাপারে শাহজাহান সোহাগের সাথে মোবাইলে যোগাাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) জাহেদুল ইসলাম জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, বিষয়টির আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নদী বন্দর / জিকে 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com