পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য চলছে ৩টি ছোট ফেরি। তবে রোববারও (১৮ এপ্রিল) ঝুঁকি নিয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ট্রলারে নদী পার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সর্বাত্মক লকডাউনের শুরুর দিন থেকেই প্রতিদিনই শত শত মানুষ এভাবে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে এ ঘাট। আর এজন্য তাদের রয়েছে নানা অজুহাত। বিভিন্ন প্রয়োজনের দোহাই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পার হওয়া এসব যাত্রীর মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য দিনে চলছে ৩টি ফেরি। এতে অনেকে মুভমেন্ট পাসের অজুহাতে মহাসড়কের চেকপোস্ট অতিক্রম করে ঘাটে আসছে। দীর্ঘ সময় পরপর ঘাট থেকে একটি করে ফেরি ছাড়া হচ্ছে। কেউ কেউ উঠে পড়ছেন ফেরিতে, আর যারা পারছেন তারা কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পার হচ্ছেন।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। উভয় রুটেই এদিন দেখা যায় একই চিত্র।
কুদ্দুস নামের একজন বলেন, ঢাকা থেকে অনেক কষ্টে মুভমেন্ট পাস ছাড়া ঘাটে এসেছি। ২৫ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দিয়ে ট্রলারেই যেতে হচ্ছে। অনেকক্ষণ পর পর ফেরি ছাড়ে, আবার কখন ছাড়বে তা আল্লাহ জানে।
আলতাব নামের একজন বলেন, ঘাটে এসেছি, পুলিশকে বলেছি মেয়ের অসুস্থতার কথা, তাই ছেড়ে দিয়েছে। মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাত্র খুলেছি ভাই। এখনই পরছি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের এ জি এম জিল্লুর রহমান বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশ পালনের চেষ্টা করছি। তিনটি ফেরি চলছে। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী যানবাহন পার করছি।
নদী বন্দর / পিকে