১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদী তীর রক্ষা বাঁধের একাধিক স্থানে সিসি ব্লক ধসে তৈরি হচ্ছে গভীর খাদ। দ্রুতই এর প্রতিকারের ব্যবস্থা না নিলে বর্ষা মৌসুমে তীর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেবে- এমনটাই জানিয়েছেন যমুনা পাড়ের মানুষেরা।
স্থানীয়রা জানান, এই মুহূর্তে জিও ব্যাগ/বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো যেতে পারে। এ জন্য তারা পাবনার পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এদিকে সরজমিন ঘুরে জানা গেছে, কিছুদিন ধরেই বাঁধটির উপজেলার গালা ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের একাধিক স্থানে হঠাৎ করেই সিসি ব্লক ধসে গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। এসব স্থানের পানির গভীরতা প্রায় ৪০/৪৫ ফুট। জানা গেছে, গ্রামটির পূর্বপাশে যমুনা নদীর বুকজুড়ে বিশাল চর জেগে ওঠায় যমুনা নদী প্রবাহ গতিপথ পরিবর্তন হয়ে শুষ্ক মৌসুমে কাশিপুর গ্রামের আঘাত হানছে। ফলে কাশিপুর গ্রামসংলগ্ন যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের যে স্থানগুলোতে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেখানে যমুনার পানি বৃদ্ধির সাথে ভাঙনের কবলে পড়বে। ফলে কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাশিপুরের পুরাতন জামে মসজিদ, বিশাল কবরস্থান বিলীন হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া শতবছরের প্রাচীন জনপদ কাশিপুর গ্রামটি এখন হুমকির সম্মুখীন। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পাশের গর্জোনা, হাড়িয়াকান্দা, গালা ও মারজান গ্রামও।
গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য খোদাবক্স আহম্মেদের ছেলে বদিউজ্জামান, জামিরতা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আবুল কালাম ও সাবেক আর এক ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, তাদের এলাকার যমুনা তীর রক্ষা বাঁধে অনেক স্থানে সিসি ব্লকসহ দেবে যাচ্ছে।
তারা জানান, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকের এক বিকেলে হঠাৎ করে ঘূর্ণিবর্তে ধসে যায় যমুনার তীর রক্ষা বাঁধ। আমরা সবাই যমুনা নদীর এমন আচরণ দেখে ভয় পেয়ে যাই। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ যমুনার তীরঘেঁষে শ্যালোমেশিন দিয়ে বালু তোলায় সিসি ব্লকের নিচ থেকে বালু ও জিও ব্যাগ সরে গিয়ে বাঁধের বিভিন্ন অংশ হঠাৎ করে দেবে গভীর খাদের সৃষ্টি হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাবনা কৈটোলা নির্মাণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুল হামিদ জানান, যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধের সে সকল সাথে ধস দেখা দিয়েছে বর্ষার আগে সে স্থানগুলো জরুরি ভিত্তিতে মেরামত করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপর একটি সূত্র জানায়, যারা যমুনাতীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু কাটছে তাদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদী বন্দর / জিকে