রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজের এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১শ ৯৫ টি টিকা গ্রহন করেছেন করেছেন।
এছাড়া নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬শ ৫২ জনের এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ শ ৫২ জনের, এপর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন। তারা হলেন, মতিউর রহমান (৬২), পিতা ইয়াসিন, গ্রাম খেতুর, প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী। কালাম (৩৩), পিতা নূর মোহাম্মদ, বাসুদেবপুর, গোদাগাড়ী, রাজশাহী, মনোয়ারুল হাসান (৬৫), পিতা ফা-মজিদ হোসেন, ডুমোরিয়া, প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী। মোঃ মোশারফ (৬০), ডুমোরিয়া, প্রেমতলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
গত ২৭ জানুয়ারী দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পর থেকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম বেশ ভালভাবে চলছে।
২৫ মে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার সময় গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা নিতে আসা মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, কর্মচারী, হজ্ব গমনে নেয়াত করা নারী পুরুষ, প্রশাসনের কর্মকতা কর্মচারীসহ সাধারনের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদের সাথে ইউ এইচ এন্ড এফপিও ডা. মোঃ আবু তালেবের অফিসে কথা হয় এ প্রতিবেদকের তিনি বলেন, লকডাউনে করোনা ভাইরাস কমেছে, সবাইকে সচেতন হতে হবে, বাড়ী থেকে বের হলেই মাস্ক পরিধান করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। বার, বার, সাবান পানি দিয়ে হাত, মুখ,ধৌত করতে হবে। তিনি আরও জানান, আমি করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছি সুস্থ্য আছি, কোন প্রকার আসুবিধা হয় নি। কোন আপপ্রচারে কান না দিয়ে সকলের টিকা গ্রহন করা উচিৎ। ম্যাসেজ পেলে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিব।
মাদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খালেকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজের মোবাইলের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছিলাম , কয়েকজনকে করে দিয়েছিলাম। রশিদ নিয়ে এসে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা নিয়ে ছিলাম, মোবাইলে ম্যাসেজ আসার পর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিলাম। সুস্থ্য আছি, ভাল লাগলো সবার গ্রহন করা প্রয়োজন। ৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করলাম। একই মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক নাজিমুদ্দিন সিদ্দিক।উত্তরা ব্যাংক, মহিশালবাড়ী শাখার সিনিয়র অফিসার মোঃ ফিরোজ কবীর বলেন, দ্বিতীয় ডোজের টিকা গত শনিবার গ্রহন করেছি, সুস্থ্য আছি, অটোতে করে বাড়ী এসেছি কোন প্রকার আসুবিধা হয় নি । স্বাভাবিকভাবে অফিসের কাজ কাম করচ্ছি।
এবছর হজ্ব গমন ইচ্ছুক আব্দুল মাতিন বলেন, মোবাইলে ম্যাসেজ আসার পর গত শনিবার দ্বিতীয় ডোজের টিকা আমি ও আমার স্ত্রী জিন্নাতুন নেসা গ্রহন করেছি । সুস্থ্য আছি, স্বাভাবিক কাজ কাম করচ্ছি কোন প্রকার অসুবিধা হচ্ছে না।
ইউ এইচ এন্ড এফপিও ডা. মোঃ আবু তালেব বলেন, মানুষের মধ্যে ভ্যান্ত ধারনা, অপপ্রচার ছিল। কিন্তু এখানে যারা টিকা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ্য আছেন, ডাক্তার, নাস, মাঠ পর্যারের কর্মীরা ঠিকা গ্রহন করেছেন। তাই এলাকার মানুষকে নির্ভয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেমতলীতে এসে টিকা গ্রহনের অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, গোদাগাড়ীর মানুষকে এ ভাইরাসের ব্যপারে সচেতন হতে হবে। শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ দিয়ে সচেতন করা সম্ভাব হবে না। সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর জনসাধারণকে সচেতন করবেন। মসজিদের ইমামগণ প্রতিটি মসজিদে মানুষকে সচেতন করবেন। গরীব, খেটে খাওয়া মানুষদের সরকারের পাশাপাশি এলাকার আবস্থাশালী মানুষদের সহযোগিতার করতে হবে। মাস্ক, সাবান ফ্রি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
গোদাগাড়ীতে প্রথম ডোজ এবং দ্বিতীয় ডোজের এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১শ ৯৫ টি টিকা মানুষ গ্রহন করেছেন। এছাড়া নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬শ ৫২ জনের এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ শ ৫২ জনের, করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ জন।
নদী বন্দর / পিকে