ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় নলকূপ দিয়ে পানি না ওঠায় ঈশ্বরদীতে তীব্র খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সেহরি ও ইফতারের সময় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার বিপুল জনগোষ্ঠী। পানি সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে তীব্র দাবদাহ। ঈশ্বরদীতে গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ৩৬-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে।
ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া গ্রামের মানুষ তীব্র দাবদাহ ও পানি সংকট থেকে মুক্তি পেতে নামাজ আদায় করেছেন। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সলিমপুরের এলাকার কৃষক সোলেমান হোসেন জানান, টিউবওয়েল তো দূরের কথা, বিদ্যুৎচালিত পাম্প দিয়েও এখন পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। কিছু দিন আগে রাতে ও ভোরে কিছু পানি তোলা যেত। এখন কোন সময়ই পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে আমাদের আবাদের ব্যাপক তি হচ্ছে।
পাকশী সিভিলহাটের তোরাব আলী জানান, দিনের বেলা পানি সংগ্রহ করে না রাখলে রাতে রোজা রাখতে সমস্যা হয়। দাশুড়িয়ার আজিম উদ্দিন জানান, জানান,পানির অভাবে যাদের বাড়িতে সাব-মার্চেবল নলকূপ আছে তাদের ওখান থেকে পানি টেনে নিয়ে আসি। পৌর এলাকার কর্মকার পাড়ার বাসুদেব কর্মকার জানান, বাড়িতে পাম্প থাকলেও জল উঠছে না। পৌরসভার সরবরাহকৃত জলের তোড় না থাকায় পাম্প লাগিয়ে তুলতে হচ্ছে।
ঈশ্বরদী পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (পানি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস জানান, অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির ভূগর্ভস্থ স্তর নীচে নেমে গেছে। যে কারণে বেশীরভাগ টিউবওয়েল দিয়ে পানি উঠছে না। সাব-মার্সেবল ছাড়া সাধারণ পাম্প দিয়েও পানি তোলা যাচ্ছে না। পৌরসভার পানি সরবরাহ অব্যাহত থাকলেও রার কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। প্রতি বছর তীব্র দাবদাহে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এ অবস্থা থাকে বলে জানান তিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা জেলা কৃষি অফিসার আব্দুল লতিফ জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ সংকটে পড়েছেন চাষিরা। মাটিতে রস না থাকায় ফল ও সবজি উৎপাদনে সমৃদ্ধ ঈশ্বরদীতে ব্যাপক তি হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় মুগ, তিল ও আউশ ধান বোনা পিছিয়ে গেছে।
নদী বন্দর / পিকে