পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আসছে পরিবর্তন। বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন আগামী দু–এক দিনের মধ্যে ছুটিতে যাচ্ছেন। ছুটির পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন। আর নতুন পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম।
বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, সরকার ইতোমধ্যে আসাদ আলমকে পরবর্তী পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে নিয়োগের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তাঁকে আগামী মাসের মাঝামাঝি ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
ওয়াশিংটন থেকে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে আসাদ আলম বলেন, ‘জুনের মাঝামাঝি ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তবে এখনো হাতে কোনো দাফতরিক আদেশ আসেনি।’
আসাদ আলম সিয়াম বিসিএস (পররাষ্ট্র ক্যাডার) ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা। বর্তমান দায়িত্বের আগে তিনি অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং ফিলিপাইনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কূটনৈতিক জীবনে তিনি রাষ্ট্রাচারপ্রধান হিসেবে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেনের অধীনে পরিচালকের দায়িত্বেও ছিলেন।
তবে জুনে ঢাকায় ফিরলেও তিনি সঙ্গে সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব নিতে পারবেন না, কারণ তিনি এখনো অতিরিক্ত সচিব পদে রয়েছেন। সচিব পদে পদোন্নতির আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে।
বর্তমান পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের দায়িত্ব ছাড়ার পর, নতুন পররাষ্ট্রসচিব দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন রুহুল আলম সিদ্দিকী। তিনি আগামী ২০ জুন অবসর প্রস্তুতিকালীন ছুটিতে যাবেন।
এর আগে সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সচিব হওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হলেও, তিনি বৃহস্পতিবার থেকে ছুটিতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অপসারণের কোনো বিষয় নেই। পররাষ্ট্রসচিব হয়তো নিজ থেকেই দায়িত্ব ছাড়তে চাইছেন। সরকার তাঁকে সেই সুযোগ দিচ্ছে।’
জসীম উদ্দিন চাকরি ছাড়ছেন কি না—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘উনি তো চাকরিতে আছেন। শুধু দায়িত্ব পরিবর্তন হচ্ছে।’
নতুন পররাষ্ট্রসচিবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দু–এক দিনের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন।’
নদীবন্দর/জেএস