দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি। এতে বেড়েছে রাজস্ব আদায়।
ঈদকে সামনে রেখে মসলার আমদানি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে জিরাসহ সব ধরনের মসলার আমদানি।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ ও জিরা আমদানিকারক রাজীব দত্ত বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মসলা জাতীয় পণ্য আমদানি হলেও করোনাভাইরাসের কারণে জাহাজ না আসায় সেসব দেশ পণ্যের এলসি নিচ্ছে না।
দেশের বাজারে মসলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও খানিকটা চড়া। চাহিদার কথা মাথায় রেখে ও দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ভারত থেকে মসলা আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
তারা আরও জানান, স্থলবন্দর দিয়ে জিরা, ডালচিনি, এলাচ, লং, কালো জিরা, আদা, শুকনো মরিচ, মেথি, হলুদসহ বিভিন্ন মসলার আমদানি বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব মসলা সরবরাহ করা হচ্ছে।
বাজারে সরবরাহ বাড়ায় মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কিছুদিন আগে প্রতি কেজি জিরা ৪০০ টাকার ওপরে দাম উঠেছিল। এখন তা কমে ৩০০ বা তার নিচেও বিক্রি হচ্ছে। কমেছে অন্যান্য মসলার দামও।
হিলি স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদকে ঘিরে বন্দর দিয়ে জিরাসহ অন্যান্য মসলার আমদানি বেড়েছে।
বন্দরের কর্মরত শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম বলেন, মসলার আমদানি বাড়ায় আমাদের কাজ বেড়েছে। পারিশ্রমিকও বেশি পাচ্ছি।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার সাইদুল আলম জানান, মসলার আমদানি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। গত অর্থবছরে জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৯ হাজার টন মসলা আমদানি হয়েছিল। এবার একই সময় প্রায় ২২ হাজার টন মসলা আমদানি হয়েছে।
এ বছর রাজস্ব নেয়া হয়েছে ৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা গত বছরের দ্বিগুণ বলে জানান তিনি।
নদী বন্দর / পিকে