1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
গাজায় প্রবেশের অপেক্ষায় ৬ হাজার ট্রাক ত্রাণ: জাতিসংঘ - Nadibandar.com
শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
নদীবন্দর,ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫
  • ৪ বার পঠিত

জর্ডান এবং মিশরে ৬ হাজার ট্রাকের সমপরিমাণ খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী গাজায় সরবরাহে ইসরায়েলের অনুমতির অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) এক এক্স বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘গাজা শহরের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন এখন অপুষ্টিতে ভুগছে। তাদের বেশিরভাগই জরুরি চিকিৎসা না পেলে মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।’

লাজ্জারিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র শিশুরাই নয় তাদের বাবা-মায়েরাও খুব ক্ষুধার্ত, যা তাদের সন্তাদের যত্ন নেওয়া ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, এই গভীরতর সংকট সকলের ওপরই প্রভাব ফেলছে। ইউএনআরডব্লিউএর ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মীরাও দিনে মাত্র একটি খাবার (ডাল) খেয়ে বেঁচে আছেন। ক্ষুধার কারণে অনেক কর্মী অজ্ঞান হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।

লাজ্জারিনি অবিলম্বে মানবিক সংস্থাগুলোকে গাজায় নিরবচ্ছিন্নভাকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে গাজা উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক মাত্রায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছে ১০০টিরও বেশি এনজিও ও মানবাধিকার গোষ্ঠী। তারা অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল গাজার ভেতরে খাদ্য বিতরণ করতে দিচ্ছে না। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রুপ নিতে পারে সতর্ক করে গাজায় অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলি বিধিনিষেধ প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

বুধবার (২৩ জুলাই) সেভ দ্য চিলড্রেন, মার্সি কর্পস, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ)-সহ ১০০টিরও বেশি সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছে।

সংস্থাগুলো বলেছে, গাজা সীমান্তের বাইরে কয়েক হাজার টন খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা সরবরাহ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র অক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে। তবে ইসরায়েল কর্তৃক সংস্থাগুলোকে প্রবেশাধিকার বা ত্রাণ সরবরাহ করতে দিচ্ছে না। এ অবস্থায় ত্রাণগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে গত ২৪ ঘণ্টায় দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে নতুন করে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর ক্ষুধাজনিত কারণে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১১৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৮০ জনেরও বেশি শিশু।

গাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চাইছে ইসরায়েল। এই মারাত্মক পরিণতির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণরূপে দায়ী।

সূত্র: বিবিসি, আলজাজিরা

নদীবন্দর/জেএস

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com