মাদারীপুর শহরের শকুনি লেকে সকালে স্বাস্থ্য সচেতনদের দখলে থাকে, দুপুরে ক্লান্ত পথিক নেন বিশ্রাম আর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিনোদনপ্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত থাকে।
বিনোদনের জন্য ছুটে আসেন বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থী। লেককে ঘিরে পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ভোরের আলোর ফোটার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই স্বাস্থ্য সচেতনরা শরীরচর্চায় মেতে ওঠেন মাদারীপুর শহরের শকুনি লেকে। সোয়া এক কিলোমিটারের লেকটিকে ঘিরে রয়েছে ওয়াকওয়ে। হাঁটাচলা করেন নারী-পুরুষসহ সবাই।
বিকেল হলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদনের পাশাপাশি অবসর সময় কাটাতে ছুটে আসেন অনেকেই। ওয়াচ টাওয়ারে ওঠা, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্বাধীনতা অঙ্গন, এমপি থিয়েটার মঞ্চ, শান্তি ঘাটলা, পানাহার এ ঘুরে বেড়ান বিনোদনপিপাসুরা।
লেকটির রাতের দৃশ্য চোখ জুড়ানো রয়েছে চারদিকে লাইটিং। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে মধ্যরাত পর্যন্ত থাকেন অনেকেই। ছুটির দিনে দর্শনার্থীর আনাগোনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, শকুনি লেককে ঘিরে ওয়াটার ড্যান্সসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে পর্যকট আরও বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
১৮৮৪ সালে শকুনি লেক খননের মধ্য দিয়ে মাদারীপুর শহরের পত্তন হয়। অবহেলায় দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ তহবিল থেকে ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সৌন্দর্যবর্ধন করা হয় শকুনি লেকের।
নদী বন্দর / এমকে