দিনাজপুর জেলা শহরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মিনার মাঠে এবারও করোনার কারণে ঈদ জামাত হচ্ছে না।
৫২ গম্বুজের এই ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে ৮ লক্ষাধিক মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের সুযোগ রয়েছে। এ মাঠের আয়তন সাড়ে ১৪ একর। যেখানে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানের আয়তন সাড়ে সাত একর।
২০১৭ সালের পর ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ঈদের দিনও নির্জন থাকবে দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদগাহ ময়দান। গত বছরের আগে এমন নির্জনতা কেউ দেখেনি।
দিনাজপুরে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে দিনাজপুর গো-এ শহীদ বড় ময়দানে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়।
করোনা মহামারির কারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত বছরের মতো এবারও ঈদগাহ কিংবা খোলা মাঠে ঈদের জামাত পড়া যাবে না। তাই সরকারি নির্দেশ পেয়ে ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি সভা করে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ময়দানে ঈদের জামাত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে (১১ মে) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকি এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপমহাদেশে এতো বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এই মাঠের মিনারটি ইরাক, কুয়েত, ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার ইসলামি স্থাপনার আদলে তৈরি করা হয়েছে। ৫২ গম্বুজবিশিষ্ট মিনারের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। সব মিনার ও গম্বুজের প্রস্থ ৫১৬ ফুট।
সৌন্দর্য বাড়াতে গম্বুজগুলো মার্বেল পাথরে মুড়ে দেয়াসহ রঙ-বেরঙের বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো হয়েছে। খতিব যেখানে দাঁড়িয়ে বয়ান করেন সেই মেহরাবের উচ্চতা ৫০ ফুট। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। দুটি গেটের উচ্চতা ৩০ ফুট। ঈদগাহ মিনারটি সিরামিক ইটে আচ্ছাদিত।