পাঁচটি রাবার ড্যাম বদলে দিয়েছে দিনাজপুরের ৭ উপজেলার মানুষের জীবন-জীবিকা। শুষ্ক মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষক পাচ্ছেন সেচ সুবিধা। অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাবার ড্যামের কারণে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র্যেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
রাবার ড্যাম হওয়ার পর বদলে গেছে নদীর দুই পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকা। পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে শুষ্ক মৌসুমে পূরণ হচ্ছে সেচের অভাব। পড়ে থাকা জমিতে খরা মৌসুমেও কৃষক চাষাবাদ করতে পারছেন। এতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে, বেড়েছে আয়।
এলাকাবাসী বলছেন, খাবার পানির সংকট মিটেছে। আর বোচাগঞ্জ উপজেলার বিজেরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খামেমুদ্দিন চৌধুরি বলছেন, টাঙ্গন নদীর ওপরে রানীরঘাট রাবার ড্যামটি এ অবহেলিত জনপদের লক্ষাধিক মানুষের ভাগ্য ফিরিয়ে দিয়েছে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ অঞ্চলে কৃষিক্ষেত্রে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন বলে মনে করছেন ড্যাম বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে মোহনপুর, কাঁকড়া, চিরিরখাল, ধন্যসাহা ও রানীরঘাট এলাকায় নির্মিত হয়েছে রাবার ড্যাম। এর ফলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি, পরিবর্তন এসেছে জীববৈচিত্র্যেরও।
দিনাজপুরের এই ৫টি রাবার ড্যাম বদলে দিয়েছে ৭ উপজেলার আড়াই শতাধিক গ্রামের ১১ লক্ষাধিক মানুষের জীবন।
নদী বন্দর / এমকে