পাকিস্তানের লাহোরে তুরস্কের দুটি কোম্পানিতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে অভিযানটি চালানো হয়।
তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়ানি শাফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলবায়রাক এবং ওজপাক গ্রুপ স্থানীয় পরিচ্ছন্নতা কাজে নিয়োজিত। কোম্পানি দুটির ছয়টি গ্যারেজে স্থানীয় সময় রাত আড়াইটার দিকে অভিযান চালানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযানে দাঙ্গা পুলিশ অংশ নেয়। অভিযানস্থলগুলো থেকে কর্মী এবং সুপারভাইজারদের সহিংসভাবে বের করে দেয়া হয়। এসময় তুরস্কের নাগরিকদের বিরুদ্ধে পুলিশ বল প্রয়োগ করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
কর্মীদের বের করে দেয়ার সময় সেখান থেকে তাদের জিনিসপত্রও সঙ্গে নিতে দেয়নি পুলিশ। এমনকি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও নষ্ট করেছে। যদিও কিছু ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা জায়গাগুলোতে অবস্থান করছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।
যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে কোম্পানির ভেতরে প্রবেশের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি কিংবা বক্তব্য দেয়া হয়নি।
ওজপাক গ্রুপের সিইও নিজামেত্তিন কোজামেস এবং আলবাইরাক গ্রুপের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কাগরি ওজিল এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, লাহোর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ওজপাক গ্রুপের চারটি গ্যারেজ এবং আলবায়কার গ্রুপের দুটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়েছে। জায়গাগুলোতে ৭৫০টি গাড়ি আছে। এরমধ্যে ময়লা সংগ্রহের ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি আছে।
কোম্পানি দুটির সঙ্গে লাহোর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর।
দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লাহোর প্রশাসনের কাছে তাদের পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র হস্তান্তরের জন্য বলা হচ্ছিল। এজন্য চাপ প্রয়োগও করা হচ্ছিল। এসব কারণে ৩১ ডিসেম্বরের পর আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতেও সম্মত হয়নি তারা। এমনকি তারা পাওনা অর্থও উঠাতে পারেনি।
তবে লাহোর ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সিইও ইমরান আলি সুলতান দাবি করেছেন, কোম্পানি দুটির বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ আইন মেনেই নেয়া হয়েছে। টেন্ডারের শর্ত অনুযায়ী গাড়িগুলো অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / পিকে