যুক্তরাজ্যে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি মহামারি বিবর্তনের একটি স্বাভাবিক অংশ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
নতুন এই প্রজাতিটির সংক্রমণ রোধে বেশ কিছু দেশ যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে ডব্লিউএইচও আশ্বস্ত করেছে, ভাইরাসটি অনুসরণ করার নতুন পদ্ধতি কাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে অনলাইন ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র জরুরি বিভাগের প্রধান মাইক রায়ান বলেন, ‘আমাদের একটি সাম্যাবস্থা খুঁজে বের করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও জনসাধারণকে অবহিত করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এটি যে ভাইরাস বিবর্তনের একটি স্বাভাবিক অংশ সেটাও জানানো দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত সময়েই ভাইরাসটি এত নিবিড়ভাবে, সতর্কতার সাথে ও বৈজ্ঞানিকভাবে অনুসরণ করতে পারাটা বিশ্ব জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি ইতিবাচক উন্নয়ন। যে দেশগুলো এই পর্যবেক্ষণের কাজ করছে তারা প্রশংসার দাবিদার।’
যুক্তরাজ্যে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতিটি আরও সহজে ছড়ালেও বর্তমান প্রজাতি চেয়ে এটি মানুষকে আরও অসুস্থ বানায় বা আরও প্রাণঘাতী এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
যে দেশগুলো ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তারা অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এটি করছে বলে উল্লেখ করেন মাইক রায়ান। তিনি বলেন, ‘এটা দূরদর্শী পরক্ষেপ। কিন্তু প্রত্যেকের এটাও জানা দরকার যে এটা ঘটে থাকে, এই প্রজাতিগুলো ঘটে।’
ইনফ্লুয়েঞ্জার চেয়ে করোনাভাইরাসের মিউটেশন অনেক ধীরে হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা। এমনকি যুক্তরাজ্যের নতুন প্রজাতিটি মাম্পসের মতো রোগের চেয়েও কম সংক্রামক বলে জানান তিনি।
যেসব ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে সেগুলো ভাইরাসের নতুন প্রজাতি প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানায় ডব্লিউএইচও। তবে এটি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলে জানান তারা।
ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচএ’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ভাইরাসের অনেক পরিবর্তন ও মিউটেশন দেখেছি। তবে এদের একটিও বর্তমান চিকিৎসা, ওষুধ বা ভ্যাকসিনের ওপর উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব ফেলেনি।’
আগামী কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভাইরাসের নতুন এই প্রজাতিটির সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
নদী বন্দর / পিকে