পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা ফাসোর একটি গ্রামে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ এ পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে সাতটি শিশুও রয়েছে। এছাড়া গ্রামের আরও ৪০ অধিবাসী এ হামলায় আহত হয়েছেন। দেশটির সরকারের মুখপাত্র ওউসেনি তামবোউরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইয়াগা প্রদেশের সোলহান নামের ওই গ্রামে সন্ত্রাসীরা শুক্রবার রাতভর হামলা চালিয়ে সেখানকার মানুষদের হত্যা করে। হামলার সময় তাদের ঘরবাড়ি এবং বাজারও পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
প্রেসিডেন্ট রোচ মার্ক ক্রিশ্চিয়ান কাবোরে এই হামলাকে ‘বর্বর’ বলে উল্লেখ করে বুর্কিনার জনগণকে ‘এসব অস্পষ্টতা সৃষ্টিকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ’ থাকার আহ্বান জানান।
কোনও গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। দেশটিতে গত কয়েক বছরের মধ্যে এই হামলা ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী। নিহতদের স্মরণে দেশটির সরকার তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে।
২০১৫ সাল থেকে আল কায়দা ও আইএস’র জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বুর্কিনা ফাসো। প্রথম মালি সীমান্তের কাছে হামলা শুরু হয়, পরে ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে তা ছড়িয়ে পরে।
জঙ্গিদের সহিংসতার কারণে বুর্কিনা ফাসোর পায় ১২ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে ফরাসি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সামরিক বাহিনী থাকার পরেও জঙ্গিরা বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী ও বেসামরিক মানুষদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বুর্কিনা ফাসোয় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। দেশটিকে সহায়তার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘এই জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সহিংস উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সদস্য রাষ্ট্রদের সহায়তা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
সূত্র : আল জাজিরা
নদী বন্দর / সিএফ